নড়াইলে কনস্টেবল পদে চাকরিতে মেধাবীদের জয়জয়কার

0
22

উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকেঃ কনস্টেবল পদে মেধাবীদের জয়জয়কার নড়াইলের সাকিবুর রহমানের কথাই ধরা যাক না। তাঁর মা স্থানীয় বরাশুলা গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন সদর চার রাস্তায় ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন। কোনদিনও ভাবেননি তাঁর ছেলে সাকিবুর রহমান ঘুষ ছাড়াই পুলিশে চাকরি পাবেন। একই জেলার বেতবাড়িয়ার সুপ্তিকণা বিশ্বাসের বাবা ছমির বিশ্বাস স্থানীয় একটি কাঁচাবাজারে রুটি বিক্রি করতেন। বাবা-মা দু’জনের স্বপ্ন ছিল মেয়ে একদিন পুলিশে চাকরি করবে। কোন রকম তদবির বা অর্থ ছাড়াই তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেয়ে। সুপ্তিকনা বিশ্বাস সেই কথা জানিয়ে বলেন, ‘এসপি স্যার ফরম কেনার ৩ টাকা নেননি। অর্থাৎ, আমার চাকরি হয়েছে সরকারি কোষাগারে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে। ঘুষ ছাড়াই চাকরি হয় এটা ভেবেই মা দুর্গা বিশ্বাস কেঁদেছেন অঝোরে। চাকরি হয়েছে পুলিশে। অথচ ওদের মামা-চাচার জোর নেই। জো নেই কোন তদবির করারও। টাকা দেওয়ার জন্য বিক্রি করার মতো জমিজিরাত নেই। আর এসব হবেই বা কী করে? পরিবারে ওরা বেড়ে উঠেছেন। নিজের মেধার গরিমায় বিজয় বৈজয়ন্তী উড়িয়েছেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা কিংবা ভাত জোটাতেই কষ্ট এমন বেশিরভাগ পরিবারের মেধাবী সদস্যদের মাঝেই এখন রাজ্যের সুখ। যোগ্যতা ও মেধার মাপকাঠিতে পুলিশে চাকরি হওয়ায় এ আনন্দ অফুরন্ত। সময়ের গতিধারায় ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ রোচক কাহিনীও যেন অতীত! আগে যেখানে তাঁরা শুনতেন ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয় না এখন বাস্তবে ‘ঘুষ’ ছাড়াই নিজেদের চাকরি হয়েছে। তাঁরা হৃদয়ে বুনছেন নতুন স্বপ্ন। অঙ্গীকার করেছেন দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ৯ হাজার ৬৮০ জন কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই বছরের পর বছর চলে আসা নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নন্দিত হয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার নির্দেশেই ২০১৮ সালের মতোই এ নিয়োগেও ঘুষ লেনদেন বা উৎকোচ বন্ধ করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন পুলিশের সৎ ও পেশাদার এ সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। পুলিশ সদর দফতরের ৬৪ জেলায় একটি করে উচ্চপর্যায়ের টিম, পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট ও রেঞ্জ ডিআইজির নজরদারি কমিটি, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে একজন পুলিশ সুপার (এসপি) ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে বিশেষ টিম সবকিছু মিলিয়ে দুর্নীতির ‘কালোব্যাধি’ দূর করতে পুলিশের আইজির এসব পদক্ষেপই মূলত প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যদের চাকরি নিশ্চিত করে। ঘুনে ধরা একটি ব্যবস্থাকে আমুল পাল্টে দিয়েছেন আইজিপি পুলিশ প্রধানের ‘ফলোআপ অ্যাকশনে’ প্রবল ত্রাসের সঞ্চার হয় জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝেও। ত্রাহি ত্রাহি রব উঠে পাতি নেতা থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের দূয়ারে! নিজের একাগ্রতা আর সাহস দিয়ে যে ঘুনে ধরা একটি ব্যবস্থাকে আমুল পাল্টে দেওয়া যায় এবং স্বচ্ছ আর নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় আবারো সেটি প্রমাণ করেছেন পুলিশের এ আইজি। শুধু তাই নয়, তদবির বা চাপের মুখেও নীতিতে অটল থাকতে ‘নিয়োগকর্তা’ জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) মন্ত্র শিখিয়েছেন। নানা হুঁশিয়ারি ও পদক্ষেপের বার্তা পৌঁছে আইজিপি জানিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশে চাকরির যোগ্যতাই হবে মেধা। যোগ্যরাই এখানে চাকরি পাবেন। ফলে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ প্রশাসন গড়তে বাহিনীর প্রধানের নির্দেশে জেলায় জেলায় প্রবল ঝাঁকি দিয়ে দেন এসপিরাও। তাঁরাই নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুলিশ প্রধানের ‘শুন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে অনু প্রাণিত হয়ে ঘুষ ছাড়া চাকরির মতো অকল্পনীয়, অচিন্তনীয় ও অভাবনীয় চমক উপহার দিয়ে দেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। জানতে চাইলে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইজিপি চেয়েছিলেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ। আমরা সেক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়েছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।’ অপর দিকে
নড়াইলে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়ায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্ত ও তাদের অভিভাবদের মিসটি মুখ করান। বুধবার (১০,জুলাই) সাড়ে সকাল ৯টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইমরান হোসেন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম),ু নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান, নড়াইল জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ এসএম ইকবাল হোসেনসহ নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ, ভোরের বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় এ সময় নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং চলাকালে উপস্থিত গণমাধ্যকর্মীদের সামনে নিয়োগপ্রাপ্ত ও তাদের অভিভাবকেরা বলেন, নড়াইলের পুলিশ সুপার সত্যিই একজন মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর মহানুভবতার দরুণ আজকে আমরা দরিদ্র হয়েও পুলিশে চাকুরি করার সুযোগ পেয়েছি। ঘুষ ও দুর্নীতি ব্যতিরেকে যে চাকুরি পাওয়া সম্ভব তার নজির সৃষ্টি করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার। আমরা যতদিন বাঁচবো তার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো।
এ প্রসঙ্গে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি দক্ষ করতে মেধাবী নিয়োগের বিকল্প নেই। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কোনো তদবির ছাড়াই যোগ্যদের কনস্টবল ট্রেইনি পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ২৯ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী ও পুরুষ। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা মেধার পরিচয় দিয়ে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তিকে আরো উজ্জ্বল করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদের প্রত্যেকের খরচ হয়েছে মাত্র ১০৩ টাকা। চাকরী প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংকশরই পিতা দিনমজুর। কারো পিতা মৎস্যজীবী, কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ রিকসা ভ্যান চালক, কেউ এতিম কেউবা কৃষক, কেউবা রুটি বিক্রেতার সন্তান। অর্থ বিত্তের জোরে এবার চাকরী হয়নি কারো। দালাল চক্র ভিড়তে পারেনি ধারে কাছে। মেধা ও যোগ্যতার বলে বিনা ঘুষে পুলিশে চাকরী পেয়েছেন ২০ জন। চাকরী পাওয়ার ঘোষনা শুনে খুশিত কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকের পিতা-মাতা। উল্লেখ্য যে, পরিচ্ছন্ন নিয়োগের কারিগর হচ্ছে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)’র। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরীর জন্য। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। চুড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন ২০ জন। পুলিশ সুপারের ঘোষনা অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নড়াইলের পুলিশের ইতিহাসে ঘুষ বিহীন চাকরী প্রদান করায় বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)কে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে তিনি প্রশংসায় ভাসছেন। উল্লেখ্য এর আগে নড়াইলের অনেক যুবক ভিটেবাড়ি বিক্রি করে চাকরী গ্রহনের ইতিহাস রয়েছে। সাবেক অনেক পুলিশ সুপার এমন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। আবার কেও দালালদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন এমন কথাও শোনা গেছে। নড়াইলে মাত্র ১শ টাকায় পুলিশ কনেস্টবল পদে নিয়োগ পেয়েছে দরিদ্র পরিবারের ২০ জন ছেলে-মেয়ে। শারীরিক, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন নিয়োগ বোডের সভাপতি ও নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। এ সময় নিয়োগ বোডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহকারী পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পুলিশ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে গত ২৯ জুন পুলিশ লাইন্সে প্রায় ১ হাজার চাকরী প্রার্থী শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় ৬২৪ জন উত্তীর্ণ হয়ে ৩০ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮০ জনের মধ্যে ভাইভা পরীক্ষায় চুরান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়। পরে পুলিশ সুপার কনেস্টবল পদে এই ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন। এদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিক্সা ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। মাত্র ১শ টাকায় দরিদ্র পরিবারের ২০ জন কনেস্টবল পদে চাকরী পেয়ে অনেকেই খুশিতে কেঁদে ফেলেন। নিয়োগ হয়েছে পুলিশ কনস্টেবল পদে। চাকরী পেয়ে খুশিতে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না। বলেন,আমি একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমার মা একজন সামান্য ভ্যান চালিয়ে সবজি বেচে। আমি কখনো ভাবিনি আমার চাকরী হবে। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলছে। টাকা ছাড়া চাকরী হবে না এ কথাও বলছে। আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি। আজ আমার চাকরী হয়েছে। ১শ টাকা ছাড়া আমার কোন টাকা লাগে নাই। এজন্য আজকে আমি খুশি ও আনন্দিত। বিনা টাকায় চাকরী দেওয়ার জন্য আমি পুলিশ সুপার স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মতো আরো অনেকেই টাকা ছাড়া চাকরী পাওয়ার গল্প শোনান। যারা সবাই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। চাকরী পেতে কোন টাকা না লাগায় তারা সকলেরই পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আজ যারা এখানে পুলিশ কনেস্টবল চাকরী পেয়েছে তারা সকলেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এই দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিনা টাকায় চাকরী দিতে পেরে আমি গর্বিত। কারণ যাদের টাকা পয়সা আছে, তারা অনেক ভাবে আরাম আয়েশ করতে পারে। দামি জামা প্যান্ট জুতা পড়তে পারে। ভালো খাবার খেতে পারে, ঘুরতে পারে। কিন্তু যারা দরিদ্র পরিবারের সন্তান তাদের ইচ্ছা থাকলেও ভালো দামি একটা শার্ট কিনতে পারে না, ইচ্ছে করলেই দাবি খামার খেতে পারে না। তাই আমি এই দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের চাকরী দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য হয়েও পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন অনেকেই। মেধাকে মূল্যায়ন করায় এমন হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) পুলিশ বাহিনীকে দক্ষ করতে মেধাবী নিয়োগের বিকল্প নেই। তাই ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কোনো তদবির ছাড়াই যোগ্যদের কনস্টবল ট্রেইনি পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ২৯জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী ও পুরুষ। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্তরা মেধার পরিচয় দিয়ে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তিকে আরো উজ্জল করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন