নড়াইলে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

0
21

ইসলাম জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, মাদক সমর্থন করে না : পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বার

উজ্জ্বল রায়,নড়াইল থেকেঃ ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মুসলি­ জামাতে অংশ নেন। বুধবার সকাল ৮টায় ঈদের জামাত শুরু হয়। এ নামাজে ইমামতি করেন মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় নড়াইলে শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার (০৫ জুন) নড়াইলে ঈদের প্রধান জামায়াত কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঈদ জামায়াতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ( তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়ারুল ইসরাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমূখ।

এছাড়া নড়াইল পুলিশ লাইনস ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭টা, বরাশুলা ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টা, রূপগঞ্জ জামে মসজিদ ঈদগাহ, মাছিমদিয়া ঈদগাহ, রূপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ঈদগাহ ময়দান, উত্তর কুড়িগ্রাম ঈদগাহ ময়দান, সীমাখলী ঈদগাহ ময়দান সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ৫১৯ টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের এই জামাতে নামাজ আদায় করেন, বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বুধবার সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের নামাজে নানা বয়সী মুসলি­দের ঢল নামে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকেই ঈদের এই জামাত ঈদগাহ কানায় কানায় প‚র্ণ হয়ে যায়। আল্লাহু আকবার তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে নড়াইল পুলিশ লাইন্স ঈদগাহ ময়দান। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, আজ থেকে ১৪/১৫শ বছর পূর্বে যেখানে জঙ্গিবাদ মাদককে হারাম করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে ইসলামে কঠোর হুশিয়ারী উ”চারণ করেছেন। বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন এবং তার বাস্তব দৃশ্য জনগণ দেখতে পাচ্ছেন এজন্য প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
একজন মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবী পরিবার, গ্রাম, সমাজ, দেশ, জাতি তথা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকারক। পরিবার সমাজ, দেশ, জাতি বিশ্বকে ধ্বাংশ করছে। যেখানে খুন, হত্যা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি সেখানে মাদক জড়িত। ইয়াবা, হেরোইন, মদসহ মাদক ব্যবসার কারবার যেখানে চলবে যেখানে আমাদের সাবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ীকে আইনর্শংখলা বাহনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
জুয়া আমাদের পরিবার সমাজ দেশ ধ্বংশের অন্য একটি মাধ্যম, জুয়া খেলেন যারা তারা জুয়া খেলায় বাড়ী, গাড়ী, জমি, জায়গা, সম্পাদ হেরে যান এমন কি নিজের স্ত্রীকেও হেরে যান। এ জুয়া খেলা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ আরও একটি বড় সমস্যা। ইসলামে কোথায় বলা নাই যে, মানুষকে হত্যা করা যাবে। আমাদের দেশের যুবসমাজকে একটি কুচত্রী মহল ইসলামের ভুল ব্যখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছেন, মানুষ হত্যা করছেন আমাদের সবাইকে এ ব্যপারে সজাগ থাকতে হবে। আমার আপনার ছেলে মেয়েদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনকে ভালভাবে বুঝতে হবে।নামাজ শেষে মোনাজাতে ব্যক্তি, পরিবার দেশ ও জাতি তথা গোটা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন ইমাম। এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মহান আল্লাহর কাছে জীবনের সকল গোনাহ মাফ চেয়ে ফরিয়াদ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন