নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে তরিকুল ইসলামের জানাজা অনুষ্ঠিত

0
30
 জি নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালের সামনে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়াও ২০ দলীয় জোট নেতা কর্মীরা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।জানাজা শেষে বিএনপির সিনিয়র নেতারা তরিকুল ইসলামের কফিনে দলীয় পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। নয়াপল্টন থেকে তরিকুল ইসলাম মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে গ্রামের বাড়ি যশোরে। বিকেলে যশোর ঈদগাহ মাঠে সবশেষ জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, তরিকুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় তরিকুল ইসলামের বাল্যশিক্ষা শুরু হয়। অতঃপর ১৯৫৩ সালে তিনি যশোর জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। একটানা আট বছর শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৬১ সালে তিনি এই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।১৯৬৩ সালে তিনি যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে আইএ এবং ১৯৬৮ সালে একই কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।কলেজের শহীদ মিনার জরাজীর্ণ হওয়ায় ১৯৬২ সালে সহপাঠীদের শহীদ মিনার তৈরি করে পাকিস্তান সামরিক সরকারের রোষানলে পড়েন, গ্রেফতারও হন।কারাগারে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে পরিচয়। সেই সূত্রে দীক্ষা বাম রাজনীতিতে। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের জন্য রাজবন্দি হিসেবে যশোর ও রাজশাহীতে কারাভোগ করেন দীর্ঘ ৯ মাস। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় গ্রেফতার হন। ১৯৭০ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন তরিকুল। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ন্যাপ থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) হয়ে পরে বিএনপিতে যোগ দেন বরেণ্য এ রাজনীতিক।জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির ৭৬ সদস্যের প্রথম আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য তরিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে বিএনপির যশোর জেলা আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে পর্যায়ক্রমে তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পান।তরিকুল ইসলাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি তথ্য এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। স্ত্রী নার্গিস ইসলাম তার অন্যতম রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন