মোঃ নাসির,নিউ জার্সি,আমেরিকা থেকেঃ–পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ফাহিম সালেহকে হত্যা করে তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিল।
শুক্রবার পুলিশ সূত্রের বরাতে এনওয়াই ডেইলি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে গোয়েন্দাদের বরাতে উল্লেখ করা হয়, হাসপিল ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ফাহিমের কাছ থেকে কয়েক হাজার ডলার আত্মসাৎ করেন হাসপিল। যা সালেহ একটা সময় জানতে পারেন,হাসপিল তার কাছে থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলেও হাসপিলকে সেটা ফেরত দিতে বলেন সালেহ। এরপরই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনো হত্যার রহস্য জানা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, নজরদারি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে ফাহিমকে সর্বশেষ অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে উঠতে দেখা গেছে। ওই লিফটে তার সঙ্গে সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরা একজনকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। লিফটটি সোজা তার অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিটে গিয়ে থেমেছে।
ওই ব্যক্তিকেই সম্ভাব্য খুনি হিসেবে ধারণা করছে পুলিশ। তারা বলছে,অপরাধীর কাছে একটা স্যুটকেস ছিল। সে ছিল খুবই পেশাদার। ওই ব্যক্তির পরনে ছিল স্যুট, হাতে গ্লাভস ও মাথায় হ্যাট। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে যৌথভাবে পাঠাও অ্যাপ’ চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকান্ডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।