পাকিস্তান থেকে হবিগঞ্জে আসা নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: পাকিস্তান থেকে স্বামীর খোঁজে আসা সেই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেছেন। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পাকিস্তান থেকে স্বামীর খোঁজে আসা সেই নারী স্বামীর সংসারে ঠাঁই না পেয়ে অবশেষে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মাহা বাজোয়ার নামের নারী পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট এর সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে তিনি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন এর আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন মাহা বাজোয়ার। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, গত (১৭ নভেম্বর) পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসে স্বামীর ঠিকানার সন্ধানে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান ওই নারী। শেষে স্বামীর পাসপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে ৮ ডিসেম্বর চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর বাজার বড়াইল বাজার এলাকার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন মজুমদারের বাড়ীতে হাজির হন তিনি। সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার ওই এলাকার সফিউল্লা মজুমদারের পুত্র। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে দুবাইয়ের একটি বারে মাহা বাজোয়ার ও সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার একসাথে কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে একে অপরের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে দুজনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তাদের সংসারে জান্নাত নামে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয় যার বর্তমান বয়স আট।
এদিকে, চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলে স্ত্রীকে দুবাইয়ে রেখে দেশে এসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চতুর সাজ্জাদ মজুমদার। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর কোন খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় হয়ে সারাদেশে ঘুরতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই নারী। মাহা বাজোয়ার বলেন, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা তিনি। তার বাবার নাম মকসুদ আহমেদ। স্বামীর সংসার ফিরে পেতে তিনি বাংলাদেশ যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চান।