জি নিউজ ডেস্কঃ অসংখ্য পাখি আর লাল কাঁকড়ায় সমৃদ্ধ কুয়াকাটা থেকে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠা নতুন চর বিজয়ে। একটু কস্ট করে আসলেও পর্যটকরা মুগ্ধ হয়েই ফিরছেন চরটি থেকে। আর ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারি থাকায় নিরাপদেই চরটি উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে চেপে সমুদ্রকে গভীরে থেকে উপভোগ করতে করতে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে দেখা মিলবে মাঝ সমুদ্রে জেগে ওঠা ‘চর বিজয়’। চরটিতে নামলেই শীত মৌসুমে দেখা মিলবে দুইপাশে পাখির ঝাঁক। আপনাকে টেনে নিবে তাদের কাছে। কখনো চরে, কখনো সমুদ্রের পানিতে অবস্থান তাদের। পানির ডেউয়ের সাথে তাল মিলাচ্ছে, আবার আসা পর্যটকদের মাথার ওপর দিয়ে ঝাঁক বেধে উড়ে যাচ্ছে চরের অন্য প্রান্তে।
ক্লান্তিতে নিশ্চুপ হয়ে যখন দাঁড়িয়ে পড়বেন বেলাভূমিতে, গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে থাকবে অসংখ্য লাল কাঁকড়া। আপনার গতিবিধি লক্ষ্য করে আট পায়ে ভর করে কাঁকড়াগুলো চলতে শুরু করবে বালুর বুকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বালু চরটি লাল কাঁকড়ায় ভরে যাবে। আর এমন দৃশ্য দেখে যে কেউই ছুটতে থাকে কাঁকড়া ধরতে।
পর্যটকরা জানান, পাখির কাছে গিয়ে ভাল লাগলো, কারণ পাখি যখন মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায়। তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে সার্বক্ষণিক না থাকলেও এখানে আসা পর্যটকরা সমস্যায় পড়লে স্পিডবোট বা ওয়াটার বাইক নিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত। যদি তাদের কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমাদের টিম এগিয়ে যাবে।
গত বছর বিজয়ের মাসে পর্যটকদের জন্য চর বজয় এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।সূত্রঃ সময় টিভি।