জি নিউজ ডেস্কঃ পুরো রাজধানীতে ঘুরছে অসংখ্য চলন্ত বোমা। অবাক হলেও গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারকে এ বিশেষণেই অভিহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মানহীন ও কম দামি সিলিন্ডার ডেকে আনতে পারে নিশ্চিত মৃত্যু। নির্দিষ্ট সময়ে রিটেস্ট না করলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ।
হাতে জরুরি কাজ, নিশ্চিন্ত মনে উঠে বসলেন সিএনজি অটোরিকশায়, কিংবা চড়লেন বাসে। কিন্তু যে গাড়িটিতে উঠলেন, তার সিলিন্ডারটি কি ঠিক আছে? সময়মতো করা হয়েছে কি পরীক্ষা?
সম্প্রতি যানবাহনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে, ঘটেছে বেশ কয়েকটি হতাহেতর ঘটনা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাইক্রোবাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে, মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান তিনযাত্রী। বছর খানেক আগে শাহবাগ মোড়ে যাত্রীবাহী এ বাসটিতেও আগুন লাগে সিলন্ডার থেকেই।
দেশ বেশ কয়েকটি কোম্পানি তেলচালিত গাড়িকে সিএনজিতে রূপান্তরের কাজ করে থাকে। মানভেদে ২০ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে একটি সিলিন্ডারের। প্রতি ৫ বছর পরপর যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার নিয়ম। কিন্তু তা তোয়াক্কা করেন না অনেকে।
গ্যাস নেয়ার সময় গাড়ি থেকে নামার নিয়ম থাকলেও, তা মানেন না অনেক যাত্রী। নিজে তো বটেই, অজান্তেই ঝুঁকিতে ফেলছেন অন্যদেরও।
চলতি পথে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কথা হয়, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বেশকজন শিক্ষকের সঙ্গে। তাদের মতে, গ্যাস সিলিন্ডারর মান নিয়ন্ত্রণে উৎপাদক কিংবা ব্যবসায়ীদের গাফিলতি ঝুঁকিতে ফেলছে ব্যবহারকারীকে।
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বলছে, সিএনজিচালিত গাড়ির বড় অংশই, সঠিক সময়ে সিলিন্ডার পরীক্ষা করে না। বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজিতে প্রেসার কম থাকলেও, ব্যবহারে থাকতে হবে সর্তক।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ টুডে।