ফেনীতে যত্রতত্র ভেজাল মসলার কারখানা,প্রশাসনের তৎপরতায়-ও,লাগাম টানা যাচ্ছে না

0
49

শাহাব মাহমুদ বাবু,ফেনী প্রতিনিধিঃ
যতক্ষণ ভেজাল হুলুদ-মরিচ গুঁড়ার কারখানা চলে ততক্ষণ পাহারায় বসে থাকে মালিক । প্রশাসনের কেউ আসলে দ্রুত খবর চলে যায় স্পটে. দরজায় তালা দিয়ে পালায় মালিক শ্রমিক সবাই । এভাবেই চলে ভেজাল মসলা তৈরীর কারবার ।

ফেনীতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ধুলো ময়লা-বালি মিশ্রিত চাল, কেমিক্যাল রঙ , কয়াল ধান, গমের ভূষা ও এ্যাংকর ডাল মিশিয়ে ভেজাল হলুদ-মরিচ ও মশলা করে সরবরাহ করছে বলে অভিযোোগ রয়েছে। ভোক্তারা এসব হলুদ-মরিচের গুঁড়া খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন এর চট্রগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক জোবায়ের আহম্মদ জানান, ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে । জেলা সদরসহ ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় দুর্ইশতাধিক মিলে ভেজাল দিয়ে ময়লাসহ হলুদ-মরিচ গুঁড়া করে তা পেকেট জাত করে চালিয়ে দিচ্ছে বাজারে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব মিল বা কারখানার মালিকের আইনগত সনদ নেই। নেই বিএসটিআই এর অনুমোদন ও পরিবেশ ছাডপত্র । প্রশাসনের কতিপয় দালালের মাধ্যমে অভিযানের পূর্বে খবর পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানা মালিকরা । পরে আবার এসে শুরু করে ভেজাল মশলা তৈরীর প্রক্রিয়া।

প্রশাসনের নাকের ডগায় ফেনী শহরের তাকিয়া রোড, ইসলামপুর রোড, পায়খানা গলি, রামপুর, ডাক্তারপাড়া, মাস্টার পাড়া, গুদাম কোয়াটার, কদলগাজী রোড, স্টেশান রোড, একাডেমী, বনানী পাড়া, পূর্ব- পশ্চিম উকিল পাড়া ও এসএসকে রোড়ে রয়েছে শতাধিক হলুদ-মরিচের মিল। এখানে বিরতিহীন ভাবে চলছে ভেজাল মসলা তৈরী। কম মজুরীর নারী শ্রমিক দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ন্ত চলে মসলা জাতিয় দ্রব্য।

অভিযোগ আছে, দোকানগুলোতে যে পরিমাণ ভেজাল হলুদ-মরিচের গুঁড়া সরবরাহ করে মজুদ রাখা হয়েছে তা আগামী এক বছরেও শেষ হবে না দোকানীরা এ গুলোকে নিজস্ব হাতের তৈরী বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
গৃহিনীরা জানান, ভেজাল হলুদ বেশি পরিমাণে সবজির সাথে দিলে রঙ হয় না। ঝোল সাদা ও লোট লোট হয়ে যায়।
চিকিৎসকদের মতে ওই রং মেশানো মরিচ খেয়ে মানুষের গ্যাসট্রিক, আলসার, আমাশয়, ডায়রিয়া, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন