ফাইল ছবি
জি নিউজ ডেস্কঃ টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। নির্বাচন ও তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এবারের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে ফেব্রুয়ারিতে সুবিধাজনক সময়ে তা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলীগের দুইপক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তাবলিগের একাধিক সূত্র জানায়, ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলীগের দুইপক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সুষ্ঠুভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের লক্ষ্যে তাবলীগের মুরব্বীদের বৈঠকে ঢাকা হলেও একসঙ্গে উভয়পক্ষকে বসানো সম্ভব হয়নি। হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের ও তার সমর্থকরা মাওলানা সা’দের অনুসারীদের সঙ্গে বসতে আপত্তি জানান। তাই আলাদাভাবেই বৈঠক করতে হয়।
এছাড়া বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হল:
১। জানুয়ারিতে কোনো পক্ষের কোন ইজতেমা হবে না।
২। কোনো মসজিদে তাবলীগের কাজে কোন বাধা কেউ দিতে পারবে না।
৩। নতুন ইজতেমার তারিখ পর্যন্ত উভয় পক্ষ কোন জোড়, ইজতেমা, সমাবেশ, পরামর্শ সভা, অথবা ওয়াজাহাতি জোড় করতে পারবে না
৪। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেওবন্দ গিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসার পর ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হবে।
এর আগে গত ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে। নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনূসারীরা ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনূসারীরা।
পরবর্তীতে এ ঘটনাটিকে নিয়ে ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে হয়। এতে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।