বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ীর করা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ

0
198

সোতলায় মাদক ব্যাবসায়ীর করা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ
গত ২২ মে সন্ধ্যায় সোনাতলা উপজেলা,বগুড়ার চরপাড়া এলাকায় টিকটক কে হা হা কেন্দ্র করে মাদক ব্যাবসায়ী মানিক গ্রুপের সাথে স্থানীয় চরপাড়ার বাসিন্দা মিলন মিয়ার সাথে মারপিটের ঘটনা ঘটে।পরে মিলন মিয়ার আঘাতে মাদক ব্যাবসায়ী মনজুর ওরফে মানিক মিয়া ওরফে ডাল মানিক(৪০) পিতাঃপুটু প্রাং গ্রামঃগোসাইবাড়ি,ডাকঘরঃচরপাড়া,থানাঃসোনাতলা,বগুড়া আহত হন।পরে তাকে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।এরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।পরে গত ২৬/০৫/২৩ ইং তারিখ মনজুর ওরফে ডাল ব্যাবসায়ী মানিক মিয়া নিজে বাদী হয়ে ঘটনায় ২৬ মে একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন মিয়া (৪০), বেলাল হোসেন (৩৫) ও মিলন মিয়ার ছেলে সৈকত মিয়া (২০) ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে কে আসামী করে সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।পরবর্তীতে এই এই অভিযোগ ভিন্ন ক্ষাতে নিতে উক্ত অভিযোগের প্রধান আসামী গুলাকে বাদ দিয়ে প্রধান আসামীর জায়গায় নতুন নতুন ২ জন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ১ জন সাধারণকে মোট ৩ জনকে পরিকল্পিত ভাবে ৪জুন সোনাতলা থানা পুলিশ বাদী পক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে করে মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে টিকটক কে কেন্দ্র করেই ওই ঘটনা ঘটে।এবং পূর্বের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।স্থানীয় ভাবে জানা যায় যে বর্তমান যে মামলা দায়ের করা হয় এর মধ্যে বর্তমান প্রধান আসামী ১,সৌরভ মিয়া ২,সাকিরুল ইসলাম ৩,শাহিন মিয়া কোনো ভাবেই জড়িত ছিলেন না।তবে ৪ নং আসামী মিলন মিয়ার সাথে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।পরে স্থানীয় জনগন জানায় এ মামলার সাথে উপরোক্ত ৩ জন আসামীর কোনো ভাবে সম্পৃত্যতা নেই।তারা এলাকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তারা মানবিক বাংলাদেশ সংগঠন নামের একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত।তারা বিভিন্ন ভাবে এলাকার অসহায় গরীব দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এলাকায় তারা বিভিন্ন ভাবে বৃক্ষরোপন,কৃষকের ধান কাটা,রোপন করা,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং,রক্তদান কর্মসূচি,বন্যার্তদের ত্রান সাহায়তা,শীতকালে বস্ত্র বিতরণ সহ সারা সময় মানুষের কল্যানে বিভিন্নভাবে সেবামূলক কাজ করে।তাছাড়া করনা কালীন সময়ে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ অপরিসী। এদিকে মামলার বাদী মনজুর ওরফে মানিক তার নামে থানায় রয়েছে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ। প্রসাশনের নাকের ডগায় থেকে সে নিজে ও তার বাহিনীর লোকদেএ দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যাবসা, অবৈধ বালু ব্যাবসা,ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট, গরুর ট্রাক ছিনতাই ও চট্টগ্রামের এক গরুর ব্যাবসায়ীর ১৩ লক্ষ টাকা ছিনতাই, এনজিওর টাকার ব্যাগ ছিনতাই, সরকারী গাছ চুরি, জুয়া সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকার নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অত্যাচার ও জুলুমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট।এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ও ভয় পায়।এ কিছুর পর ও প্রসাশনের নিরব ভূমিকা পালন করে বলে দাবী করেন স্থানীয় জনগন।তাদের এসব কর্মকান্ড নিয়ে এলাকার সর্বমহলে তীব্র সামালোচনার ঝড় বইছে।তার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠিন আইনি ব্যাবস্থা ও দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবী স্থানীয় জনগনের।সেই সাথে নীরব প্রশাসনকে বগবান করার দাবী স্থানীয় জনগনের। এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান কে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।

কোন মন্তব্য নেই