বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে “ব্লু ওয়াইল্ড বিস্ট” পরিবারে তিন নতুন অতিথি

0
72

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে তিনটি “ওয়াইল্ড বিস্ট” তিনটি ছানা প্রসব করেছে।

রবিবার (০৪ জুন)এই প্রথম বঙ্গুবন্ধু সাফারি পার্কে কোন ওয়াইল্ড বিস্ট ছানা প্রসব করল। এ নিয়ে বঙ্গুবন্ধু সাফারি পার্কে তাদের পরিবারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ তে।এর আগে এই পার্কে এদের পরিবারে ৪টি পুরুষ ও ৬টি মাদি ওয়াইল্ড বিস্ট ছিল।

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. সরোয়ার হোসেন খান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত পার্কে পূর্ণবয়স্ক ১১টি ওয়াইল্ড বিস্ট আনা হয়। তাদের মধ্যে একটি ভুগে মারা যায়।এ প্রাণিগুলো আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করতে দেখা যায়। এরা এক সঙ্গে পাল নিয়ে চলাফেরা করে থাকে।প্রতিবছর বর্ষা কালের শেষদিকে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তারা প্রজনন করে থাকে। সাড়ে ৮মাস পর তারা বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণত ১৯ কেজির মত। প্রথমে বাচ্চাদের গায়ের রং ধূসর (টনি ব্রাউন) এবং পূর্ণ বয়স্ক হলে তার বর্ণ হয় নীলাভ ধূসর। প্রতিবার এরা একটি করে বাচ্চা প্রসব করে থাকে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এরা মায়ের সঙ্গে থাকে ও দুধ পান করে। এক সপ্তাহ পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘাস খেতে চেষ্টা করে। পরে তারা স্বাধীণভাবে বিচরণ করে থাকে। এরা ছোট ঘাস ক্ষেতে বেশি পছন্দ করে। পুরুষ বাচ্চারা দুই বছর এবং মাদি বাচ্চারা ১৬মাসে প্রজননক্ষম হয়। প্রকৃতিক পরিবেশে একটা “ওয়াইল্ড বিস্ট” ২০ বছর এবং আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রসবের কয়েক মিনিট পর বাচ্চা ওঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করে। বাচ্চারা এখন আফ্রিকান সাফারিতে মায়েদের সঙ্গে সঙ্গে খেলা করে বেড়াচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে। বাচ্চা তিনটি মাদি না পুরুষ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। মানুষ দেখলে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে তাদের কাছে যেতেও দেয়া হচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই