র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) কর্তৃক বরগুনা জেলার বেতাগী হতে এক চাকুরী দাতা প্রতারক আটক।
র্যাবব সুত্রে জানাযায়, র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী থানাধীন চান্দুখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক ভুয়া চাকুরী দাতা প্রতারক মোঃ নাজমুল হাসান জলিল(৪০) পিতা- মোঃ আঃ গফ্ফার আকন, সাং- তারাবুনিয়া, ১নং ওয়ার্ড ৬নং মজিদ বুনিয়া ইউনিয়ন, থানাঃ মির্জাগঞ্জ, জেলাঃ পটুয়াখালীকে আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে, আটক মোঃ নাজমুল হাসান জলিল একজন প্রতারক। সে বিভিন্ন সময় চাকুরি প্রার্থীদেরকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বিগত ২০১৮ সালের পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ নিবাসী জনৈক মোঃ হানিফ এর ছেলে এবং মেয়ের জামাই কে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রতি প্রার্থির জন্য ০৮ লক্ষ টাকা হিসাবে সর্বমোট ১৬লক্ষ টাকায় ষ্ট্যাম্প মুলে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং উভয় প্রার্থির নিকট থেকে ১লক্ষ টাকা হারে সর্বমোট ২লক্ষ টাকা অগ্রীম গ্রহন করে।
এ ছাড়া জনাব মোঃ হানিফ এর ভায়েরার ছেলে মোঃ আঃ হালিমকে খাদ্য অধিদপ্তরে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ০৮লক্ষ টাকায় ষ্ট্যাম্প মুলে চুক্তি বদ্ধ হয় এবং ১লক্ষ টাকা অগ্রিম গ্রহন করে। দীর্ঘ প্রায় ২বছর যাবৎ চাকুরি দেওয়ার বিনিময়ে প্রতারনা মুলক ভাবে টাকা নিলেও চাকুরি দিতে অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা লাভের জন্য র্যাব-৮ সিপিসি-১ বরাবর অভিযোগ করিলে উক্ত প্রতারককে আটকের ব্যাপারে র্যাব-৮ সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চাকুরিদাতা প্রতারক মোঃ নাজমুল হাসান জলিল কে চান্দুখালী বাজার এলাকা হতে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারনার বিষয়টি স্বীকার করেন। আটককৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে জনাব মোঃ হানিফ মামলার বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।