প্রিয় দেশবাসী আমার ছালাম নিবেন,,,,,,,,,,,
আমি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পর ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে-ই স্লোগান বুকে ধারণ করে দেশের আনাচে-কানাচে উল্কার মতো ছুটে বেড়িয়ে গরীব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর চেষ্টা করেছি। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিয়েছি। তিস্তা ব্যারেজ, ঠাকুরগাও এ টাংগন ব্যারেজ পাবনা সেচ প্রকল্প এবং উত্তরবঙ্গে বরেন্দ্র সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প তারই নজির। সিকিমূল্যে সার সরবরাহ এবং ট্রাক্টরসহ সকল কৃষি সরঞ্জামের কর মওকুপ করেছি। আমরা দেশে ৫টি সার কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছি। তারপর আর কোনো সার কারখানা স্থাপিত হয়নি। আমরা দুঃস্থ অবহেলিত ঠিকানাবিহীন মানুষকে সযতনে কাছে টেনে গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় দিয়েছি। আমি পথের ধারের অবহেলার কলিগুলোকে সন্তানের মমতায় বুকে তুলে নিয়ে পথকলি নাম দিয়ে তাদের জীবন অর্থবহ করে তোলার ব্যবস্থা করেছি। আমরা ঘুণেধরা প্রশাসন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে উপজেলা সৃষ্টির মাধ্যমে এদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছি। আমরা ঔপনিবেশিক আমলের মহকুমা ব্যবস্থা ভেঙ্গে ১৯ টি মহকুমা থেকে ৬৪টি আধুনিক জেলা পরিষদ গঠন করেছি। আমি এলজিআরডি এর প্রতিষ্ঠা করে হাজার হাজার মাইল পাকা রাস্তা, শত শত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করে এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়েছি। যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, টাকা সংগ্রহ ও ভুমি জরিপ করেছি এবং এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছি। আমি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ রক্ষায় দুইবার জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছি। ’৮৮ ভয়াবহ বন্যায় দেশের ৯০% ভূমি যখন পানির নিচে ডুবে গিয়েছিল তখনও একজন লোককে না খেয়ে মরতে দেওয়া হয় নাই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ে নাই। দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনীকে রিলিফের কাজে নিয়োজিত করেছি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, আমরা শত বছরের ত্রুটিযুক্ত ভূমি জরিপের সংস্কার করেছিলাম। খাজনার দায়ে দীন-দরিদ্র কৃষককে ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদের প্রথা বন্ধ করেছি। এ দেশের তেভাগার জন্য বহু আন্দোলন হয়েছে। আমি সেই তেভাগা প্রথা চালু করেছি। মনে আছে নিশ্চয়ই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা, শুক্রবারকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা, মাদ্রাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার মানের পর্যায়ে আমিই নিয়ে এসেছিলাম। আমরা অর্পিত সম্পত্তি আইন স্থগিত করেছি, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি, জন্মাষ্টমীর দিন সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেছি। আমি মসজিদ, মন্দির সহ সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলাম। মেয়েদের শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক ঘোষণা করেছি। শতসহস্র স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ করেছি-শ্রমিক-সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করেছি। দু’টি ঈদে দু’টি বোনাস চালু করেছি। এই কথাগুলো আপনারা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেবেন।