বান্দরবানের থানচি ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন

0
16

জি নিউজ ডেস্কঃ বান্দরবানের থানচি ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।ভারী বর্ষণের কারণে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের যাতায়ত ঝুঁকির কারণে উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

গত শনিবার (৬ জুলাই) দু’দিনের টানা বর্ষণে সাঙ্গু নদীতে প্রচুর পানি বেড়ে যাওয়ায় নৌপথে থানচির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ভ্রমণে পর্যটকরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে পর্যটকরা।থানচির এসব পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক পর্যটককে স্থানীয় থানায় ও বিজিবি ক্যাম্পে যৌথভাবে নিবন্ধন করে গন্তব্যে যেতে হয়। আপাতত কোন পর্যটককে ভ্রমণে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল।

এছাড়াও নদীতে পানি বেশি হওয়ার নৌ চলাচল বন্ধ রেখেছেন স্থানীয়রা। তবে নদীর অবস্থা স্বাভাবিক হলে আগের মত আবারো পর্যটকরা থানচিতে বেড়াতে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও ।

থানচির নাফাখুম, আমিয়াখুম, ভেলাখুম, বড় পাথরের দুর্গমপথ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক। রেমাক্রী, আন্ধারমানিক, তিন্দু ও বড় মদক এলাকাতেও প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন।

উল্লেখ্য, থানচির নাফাখুম, আমিয়াখুম, ভেলাখুম, বড় পাথরের দুর্গমপথ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক। রেমাক্রী, আন্ধারমানিক, তিন্দু ও বড় মদক এলাকাতেও প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। কিন্তু গত ৩০ জুন রোয়াংছড়ি থেকে তিনপাসাইতার বেড়ানো শেষে পায়ে হেঁটে রুমার পাইন্দু খাল পেরোতে গিয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে এক নৌবাহিনী কর্মকর্তা ও এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হন। পরদিন পাইন্দু খাল থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন