প্রচারে, জি নিউজ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। দেশের সর্বাত্মক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করে এর মধ্যেই তিনি চেষ্টা করেছিলেন দেশকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে। তাঁর সুযোগ্য এবং তেজস্বী নেতৃত্বেই ১৯৭৫ সালেই জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর পেরিয়ে গেছে ৪২ বছর। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ২০১৮ সাল। দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৪২ বছর পর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে এ রাষ্ট্র চলতি বছর উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কমিটি ইতঃমধ্যে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশকে ২০২৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। বাংলাদেশের জন্য এই অর্জন অনেক মর্যাদার। কারণ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীলে উত্তরণের জন্য বিবেচ্য তিনটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ আজ এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এর ফলে নতুন অভয়বে সারাবিশ্বের সামনে অভ্যুদয় ঘটবে বাংলাদেশের। তবে উন্নয়নশীলে উত্তরণ ঘটার পর এ রাষ্ট্রের সামনে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি হবে। একসময় অবজ্ঞার শিকার, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ হিসাবে স্বীকৃত আমার প্রাণের দেশটিই আজ বিশ্বের রোল মডেল, উন্নয়নের বিস্ময়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে আমরা দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক ঊর্ধ্বমুখী। কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না—এ প্রতিশ্রুতি ধারণ করে এই সরকার শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু একটি স্লোগানই নয়, একটি বিপ্লব। এ বিপ্লবের ফল আজ সারা দেশের মানুষ ভোগ করছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ আমাদের হাতিয়ার। বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারের সদিচ্ছায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশে গড়ে উঠবে দুর্নীতিমুক্ত ও কল্যাণমুখী অর্থনীতি। আর মানুষের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা বিধান করবে রাষ্ট্র। এ মুহূর্তে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি এ দেশের জন্য গৌরবের। জাতি হিসেবে আমরা চাই নিজেদের মর্যাদা ও গৌরব প্রতিষ্ঠিত করতে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানিত করবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ