জি নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় কৃষকদের মাঝে স্বল্প সুদে সরাসরি ঋণ বিতরণ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাংকই তা মানছেন না। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের হিসেবে ৩৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকই নিয়ম লঙ্ঘন করে বিতরণ করা কৃষি ঋণের বেশিরভাগ অর্থ তুলে দিয়েছে এনজিওর হাতে। এতে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ায় একদিকে যেমন বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসছে না; অপর দিকে এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ করায় ঋণের অর্থ বেহাত হওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ- বইয়ের পাতায় লেখা এ কথাটি বাস্তবে যেন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। গেল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃষির পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে শিল্প নির্ভরতার দিকে ঝুঁকছে দেশের অর্থনীতি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে, বর্তমানে জিডিপিতে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ অবদান রেখে কৃষি নেমে এসেছে ৩য় অবস্থানে।তবে বাণিজ্যিক কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংককে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ব্যাংকগুলো মোট কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ২১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ কাগজে কলমে কৃষি ঋণ বিতরণের সফলতা শতভাগেরও বেশি।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের মোট কৃষি ঋণের ৩০ ভাগ সরাসরি কৃষকদের মাঝে বিতরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এই সময়ে ৩৯টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টিই তা মানেনি।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের চাপ মোকাবিলায় দেশের শিল্প ও সেবা খাত যখন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না, তখন বিকল্প কর্মসংস্থানের উৎস হিসেবে কৃষিতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তবে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনো বড় বাধা অর্থসংস্থান। হিসেব বলছে, দেশের সব ব্যাংক মিলে বিতরণ করা মোট ঋণের মাত্র ২ শতাংশ বরাদ্দ কৃষির জন্য। এরও আবার বড় অংশই যায় বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে।কিন্তু এনজিওর উপর এই অতি নির্ভরশীলতার কারণ কী? ব্যাংকারদের দাবি, গ্রামাঞ্চলে পর্যাপ্ত শাখা না থাকায় সরাসরি কৃষি ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শাস্তির ব্যবস্থা থাকায় কোনো ব্যাংকেরই অনিয়ম করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই
ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের চাপ মোকাবিলায় দেশের শিল্প ও সেবা খাত যখন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না, তখন বিকল্প কর্মসংস্থানের উৎস হিসেবে কৃষিতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তবে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এখনো বড় বাধা অর্থসংস্থান। হিসেব বলছে, দেশের সব ব্যাংক মিলে বিতরণ করা মোট ঋণের মাত্র ২ শতাংশ বরাদ্দ কৃষির জন্য। এরও আবার বড় অংশই যায় বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে।কিন্তু এনজিওর উপর এই অতি নির্ভরশীলতার কারণ কী? ব্যাংকারদের দাবি, গ্রামাঞ্চলে পর্যাপ্ত শাখা না থাকায় সরাসরি কৃষি ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শাস্তির ব্যবস্থা থাকায় কোনো ব্যাংকেরই অনিয়ম করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই