সাকিব হাসান প্রিয়াসঃ ময়মনসিংহের ভালুকার উথুরা ইউনিয়নের মরচী গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী রাবেয়া আক্তার কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায় একই গ্রামের একাধিক তরুণের বিরুদ্ধে।
গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে শিহাব,নজরুল ইসলামের ছেলে সাকিব ও তার বন্ধু খোকন সহ আরও অনেকে ৭ই জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় রাবেয়া কে মুখ চেপে ধরে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ধর্ষিতার পরিবার তাদের মেয়ে কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর না পেলে একপর্যায়ে ধর্ষকরা ধর্ষিতার মামা কে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে খবর পেয়ে অভিভাবকরা মেয়েটি কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
অভিযুক্তদের মধ্যে আসামি খোকন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন যে যখন তখন যে কোন মেয়েকে পছন্দ হবে সে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ/ ইভটিজিং করবো এটা কি সমাজের ধারনা হয়ে গেছে?? এলাকার নেতা মাতব্বর এর একটি মহল এ-সব বিষয়ে প্রায়ই ঘটনা ধামা চাপা দিবার চেষ্টা করে বলে মনে করে এলাকার সচেতন সমাজ এবং নিচের এমন মন্তব্য করে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপের সমালোচনা চলছে ব্যাপক ভাবে। মন্তব্য গুলো হলো,যারা অন্যায় ভাবে ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা করবে এরাও ধর্ষকের সমান… এবার সময় কথা বলার এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মা-বোন বাড়ির বাইরে বের হতে সাহস পাবেনা।
মাদক জঙ্গীবাদ নিয়ে সোচ্চার যেমন আমাদের ভালুকার অভিভাবক রা তেমনি উনাদের অনুরোধ করবো ধর্ষণের জন্য কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য..
একটি ধর্ষকের নিজের লালসার জন্য একটি মেয়ের সারা জীবন নষ্ট হয়ে যায়…
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ রইল এই ধর্ষকদের গ্রেফতার করে কঠিনতম শাস্তির আওতায় আনা হোক।