ভুল চিকিৎসায় হবিগঞ্জে মামলা, উচ্চ আদালতে জামিনের বদলে কারাবাস

0
1

ভুল চিকিৎসায় হবিগঞ্জে মামলা, উচ্চ আদালতে জামিনের বদলে কারাবাস

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে মামলায় উচ্চ আদালত ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। ‘চিকিৎসাসেবা বাদ দিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয় সে জন্য এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত।’ ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হওয়া মামলায় হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন শুনানি হয়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার দ্বৈতবেঞ্চ শুনানিকালে এ মন্তব্য করেন। এ মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন চিকিৎসক ডা. এসকে ঘোষ, দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলাম ও আমীর আবেদীন এবং ম্যানেজার জনি আহমেদ। হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা তাদের আদালত থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি এ তথ্য জানান।

আদালত বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ পরে হাসপাতালটির অভিযুক্ত চিকিৎসক এসকে ঘোষ ও পরিচালক আরিফসহ চারজনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের বহুলা গ্রামের রহিমা খাতুনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাবার পর কর্তৃপক্ষ বলে রহিমার অবস্থা খুবই খারাপ জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। ওই দিনই ডাক্তার এস কে ঘোষ তার অপারেশন করেন। এরপর তার অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখানে কয়েকদিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে রিলিজ দেয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রহিমাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমার মৃত্যু হয়।

কোন মন্তব্য নেই