মাগুরায় জার্মানি সাপোর্টার আমজাদের বাড়িতে দুই জার্মান কুটনীতিক

0
75

জার্মানি ফুটবল দলের ভক্ত মাগুরা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ৫ কি: মি: দীর্ঘ পতাকা দেখতে গিয়েছিলেন জর্মান দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা।আমজাদ হোসেন মাগুরার সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের নেহাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে ।তিনি পেশায় একজন সাধারণ কৃষক।

আজ মঙ্গলবার (৫ জুন) সকালে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আমজাদ হোসেন তার সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের পতাকা প্রদর্শন করেন। সেখানে শুভেচ্ছা জানাতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত দুতাবাসের কুটনীতিক কারেন উইজোরা ও শিক্ষা সংস্কৃতিক কর্মকর্তা তামারা কবির।

এ সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় চাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান প্রমুখ।

প্রর্দশনী অনুষ্ঠানে জার্মান দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা জানান, তারা আমজাদের এই ফুটবল ও জার্মান দল প্রীতিতে মুগ্ধ। আমাদের জানা মতে তাদের ফুটবল দলের সমর্থনে এটাই সম্ভবত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পতাকা। এ জন্য আমরা আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। মাগুরায় এটাই তাদের প্রথম সফর নয়, গত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের পতাকা দেখতে জার্মান দুতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফায়ারস্ এখানে এসেছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে আমজাদ হোসেন বলেন, এ বছর বিশ্বকাপে জার্মান চ্যাম্পিয়ন হলে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ পতাকা বানাবেন তিনি। যা মাগুরা ভায়না থেকে সীমাখালী পর্যন্ত পথ জুড়ে প্রদর্শীত হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে আমজাদ হোসেন কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। সে সময় অনেক রকম চিকিৎসা নিয়েও কোন সুফল পাননি। অবশেষে মাগুরার মনোরঞ্জন কবিরাজ নামের আয়ুর্বেদিক এক চিকিৎসকের পরামর্শে জার্মানের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের পরই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর থেকেই আমজাদ হোসেন জার্মানের প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠেন। সে সুত্র ধরেই বিশ্বকাপে জার্মান ফুটবল দলের ভক্ত হয়ে গেছেন তিনি।২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে নিজের ৩০ শতক জমি বিক্রির আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পতাকা তৈরি করেন কৃষক আমজাদ হোসেন। পরর্তীতে জার্মান ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হলে সে দেশের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত নিজে মাগুরার ঘোড়ামারা গ্রামে আমজাদের বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন। ১২ জুলাই ১৪ সালে জার্মান চার্জ দ্য আফেয়ার্স ড. ফার্দিনান্দ ফন ফার্সি ওয়েহে তাকে মাগুরা স্টেডিয়ামে জার্মানের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও লিখিতভাবে জার্মান ফ্যান ক্লাবের সদস্য পদ দেন। বিশ্বকাপে জার্মান দলের জয়ে আমজাদ হোসেন গণভোজের আয়োজন করেন। যা বাংলাদেশ, জার্মান ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই