জি নিউজ ডেস্কঃ মাত্র দেড় লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয়। রবিবার (২৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আগে সরকার নির্ধারিত(১,৬০,০০০ ) টাকার চেয়ে অনেক বেশি নেয়া হয়েছে কর্মীদের কাছ থেকে। ৪ লাখ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। এবার সেটা যেনো না হয়, সে লক্ষে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
২৯ এবং ৩০ মে মালয়েশিয়ায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মলয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ভালো খবর আসতে পারে বলেও আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে পাঠানো কর্মীরা কাজ পাচ্ছে না, এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাননি তিনি।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতারিত কর্মীরা হাইকমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছে, গণমাধ্যমের সংবাদ হয়েছে, সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তখন প্রতিমন্ত্রী আর এ বিষয়ে আলোচনা বাড়াননি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে, বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান, অতিরিক্ত সচিব মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির ডিজি সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক ও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিদেশে প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠাতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টিটিসি স্থাপনের মাধ্যমে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অভিবাসন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রত্যেকটি জেলায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে এধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী অভিবাসনের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা প্রীতিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন সচেতন করা গেলে অভিবাসী প্রত্যাশীদের অভিবাসন খরচ কমে যাবে সঠিক কাজ পাবে এবং বিদেশে গিয়ে প্রতারণা হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন জেলা সফর করে এ ধরনের আয়োজন করছেন।
এসব কর্মশালায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন কোথাও মাননীয় সংসদ সদস্য কোথাও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করছেন। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে অভিবাসন এখন অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সরকার এ ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করেছে। কিন্তু অভিভাষণ প্রত্যাশীদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে দালাল মধ্যস্বত্বভোগ দের দূরত্বের কারণে অভিবাসন খরচ বেড়ে যায়।
অপরদিকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর এসব দালাল নির্ভরতার কারণে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যায়। মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালরা বেশি বেতন কর্মস্থল থাকা খাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভুল তথ্য দিয়ে প্রলুব্ধ করে।
ভুল তথ্য দিয়ে শব্দ যাতে না করা হয় এজন্য অভিবাসন প্রত্যাশীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয় এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কর্মশালায় অংশ নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীরা উপকৃত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা আশা করছেন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সঠিক তথ্য জেনে বুঝে বিদেশ গমন করা সম্ভব হবে।
বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে সরকার কিভাবে সহযোগিতা করে সে তথ্যগুলো জানা সম্ভব হচ্ছে। বিদেশে মিশনগুলোতে কখন কোন সময় কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে সে বিষয়গুলো এখান থেকে জানা যাচ্ছে