মাস্টার্সের সমমান পেলো কওমির দাওরায়ে হাদিস-মন্ত্রিসভায় অনুমোদন।

0
49

জি নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্ব মহলের অভিনন্দন। জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জাযা। শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. এর প্রতি কৃতজ্ঞতা অভিনন্দন।

কৃতজ্ঞতা অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি । ধন্যবাদ আজকের মন্ত্রীসভায় উপস্থিত সবাইকে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়েকেরাম, সর্বস্তরের উলামা হযরাত, তালিবে ইলম, যারা পরিশ্রম করেছেন, দাবী করেছেন, ভূমিকা রেখেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা অভিনন্দন। জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জাযা।

কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা পেলো আজ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য- এ দুই বিষয়ের মাস্টার্সের সমমান পেলো দাওরায়ে হাদিস। এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের বৈঠকে এ সংক্রান্ত আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ উলামায়েকেরামের চাহিদা অনুযায়ী সম্পুর্ন স্বতন্ত্র ও মুক্ত ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে কওমি সনদ আইনকে।

২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা ঘোষণা করে সরকার। ওই দিন গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আলোকেই এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি করে এই সমমান দেয়া হল। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ সমমান দেয়ার লক্ষ্যে বেফাক সভাপতি (পদাধিকার বলে) আল্লামা শফীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সরকারের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

এ কমিটি সনদবিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বিবেচিত হবে। কমিটির নিবন্ধিত মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্সের সমমান বিবেচিত হবে। এ কমিটির অধীনে ও তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল এবং সনদ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়গুলো অবহিত করবে কমিটি। এ কমিটি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবে।

কওমি মাদ্রাসা মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসার আলোকে প্রণীত শিক্ষা ব্যবস্থা। এখানে কোরআন-হাদিসের মূলধারার শিক্ষার ওপর বেশি জোর দেয়া হয়। বাংলাদেশে কয়েক হাজার কওমি মাদ্রাসার প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর। কওমি শিক্ষায় ৬টি স্তর রয়েছে। এগুলো হল- ইবতেদাইয়্যাহ (প্রাথমিক), মুতাওয়াসসিতাহ (নিমাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ আম্মাহ (মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ খাসসাহ (উচ্চ মাধ্যমিক), মারহালাতুল ফজিলত (স্নাতক), মারহালাতুত তাকমিল বা দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই