মেজর ডালিমের স্ত্রীকে কিডন্যাপ করে ধর্ষণ করেছিল বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ কামাল ?
অভিনেত্রী ডলি জহুরের কাছ থেকে দেখা বক্তব্য।
জি নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা
এবং বঙ্গবন্ধুপুত্র শেখ কামাল
আমার পত্রিকার সংস্কৃতিমুখ বিভাগের
জন্য ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলাম
দেশের প্রখ্যাত সিনিয়র
অভিনেত্রী ডলি জহুরের কাছে। তিন
পাতার বিশাল সেই ইন্টারভিউ
ছাপা হয়েছিল কিছু রাজনৈতিক প্রসঙ্গ
কেটে দিয়ে। আমি কষ্ট পেয়েছিলাম
কিন্তু কিছুই করার ছিল। শুধু
একটা বিষয় অনুধাবণ
করেছি কালে কালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের
উপর যেসব মিথ্যে অভিযোগ দেশময়
ছড়িয়ে আছে তার অন্যতম বাহন ছিল
গণমাধ্যম। এমনকী এই সময়ে এসেও কেউ
সত্যি কথাগুলো প্রকাশ করতে চায় না।
পাছে আওয়ামী লীগের সীল লেগে যায়।
কিন্তু আমার এই নিয়ে কোন
মাথাব্যাথা নাই। জাতির পিতার
পরিবারকে টম এন্ড জেরী কার্টুন
বানানো হবে কতিপয়
স্বার্থবাদী মানুষের জন্য
সেটা আমি মানতে পারি না। তাই যেসব
কথা ডলি জহুরের ইন্টারভিউ
থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল সেই
কথাগুলো তুলে ধরলাম। কারণ এখনই
সুসময় সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের।
স্বার্থবাদীরা আজ বিপন্ন হওয়ার
অপেক্ষায়। অবশ্য দুনিয়াতে কখনই
স্বার্থবাদীরা টিকে থাকে নি।
যাই হোক ওইদিনের
ইন্টারভিউয়ে ডলি জহুরের জন্য
একটা প্রশ্ন ছিল-ম্যাডাম আপনার মঞ্চ
নাটকের শুরুটা কিভাবে? তখন
তিনি নানা কথা বলেন। সেসব কথার
ফাঁকে উঠে বঙ্গবন্ধু পুত্র আসে শেখ
কামালের কথা। আমি তার মুখে শেখ কামাল
সম্পর্কে এসব নতুন কথা শুনে একেবারেই
তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম। শেয়ার
করছি আপনাদের সাথেও। শেখ কামাল আর
ডলি জহুর একই নাট্যদলে কাজ করতেন।
প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হত নাটকের
রিহার্সাল-একটানা চলত রাত
১১টা-১২টা পর্যন্ত। রিহার্সাল
শেষে ডলি জহুর বাসায় ফিরতেন শেখ
কামালের সাথে। কারণ ডলি জহুররা তখন
হাতিরপুলে থাকতেন।
ডলি জহুরকে বাসায় পৌছে দিয়ে তারপর
ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাসায়
যেতে কামাল। ডলি জহুর আবেগতাড়িত
কণ্ঠেবলেন-১৯৭৩-৭৪ সালে ঢাকা শহরে রাত
১০টা মানেই অনেক রাত। রাস্তা একেবারেই
ফাঁকা। সেখানে প্রতিদিন কামাল ভাই
আমাকে ১১টা-১২টার দিকে বাসায়
পৌছে দিতেন। প্রেসিডেণ্টের
ছেলে হয়েও তার কাছে সবসময় টাকা থাকত
না। এ নিয়ে অনেক ক্ষ্যাপাতাম। শুধু
আমি না ক্যাম্পাসেও তার বন্ধুরা তাকে এই
জন্য ক্ষ্যাপাত। যেদিন কামাল ভাইয়ের
কাছে টাকা থাকত না সেদিন
রাতে হেঁটে যেতাম। যেদিন টাকা থাকত
সেদিন যেতাম রিকশায়। কত রাতের
পরে রাত উনার সাথে আমি একা বাসায়
ফিরেছি অথচ এক বারের জন্যও
আমি তাকে আমার
দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনি।
আমিউনার ছোট বোন শেখ রেহানার
বান্ধবী ছিলাম। ছেলেরা ছোটবোনের
বান্ধবীদের সাথে কতরকম দুষ্টামী করে।
উনি কোনদিন তাও করেন নি। ভুল
করেও বলেন নি-ডলি তোর
হাতটা দে তো ধরি। এক কথায় কামাল ভাই
ছিলেন ভাইয়ের মতই ভাই। শুধু
আমি কেন যেসব মেয়েরাই উনার
সাথে মিশত সবাই এইকথা স্বীকার
করবেন। আর এই দেশের মানুষ
তাকে নিয়ে কতরকমের অপপ্রচার
চালালো। কামাল ভাই নাকি কার
বৌকে তুলে নিয়ে গেছেন হ্যান ত্যান।
মানুষ এত মিথ্যাবাদী হয়
কি করে আমি ভেবে পাই না! স্বার্থ
মানুষকে ভিতর-বাহির থেকেই নষ্ট
করে দেয়। তাছাড়া কামাল ভাই ছিলেন
প্রেসিডেন্টের ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জন্য শত শত
মেয়ে পাগল। কখনও কোনদিন
আমরা তাকে সেসব মেয়েদের পাল্লায়
পরতে দেখিনি। তিনি কি পারতেন
না সেসব মেয়েদের
সাথে নোংরামী করতে? এখানেই শেষ নয়।
সুলতানা কামালকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন
কামাল ভাই। সুলতানা আপ ছিলেন
নামকরা একজন খেলোয়ার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার জন্য
তিনি এক নামে পরিচিত। অনেক
লম্বা আর শক্ত পেটা শরীর।
আমরা উনাকে ভয় পেতাম। সহজে কেউ
সুলতানা আপার কাছে যেতাম না। ছেলেরাও
ভয় পেত তাকে। এড়িয়ে চলত। সেই
সুলতানা আপাকে পছন্দ করে বসলেন
কামাল ভাই। আর তার হয়ে সুলতানা আপার
কাছে এই কথাটা বলার দ্বায়িত্ব দেন
আমাকে। আমি তো ভয়েই শেষ।
না করে দিলাম। কিন্তু কামাল ভাইয়ের
জোরাজোরিতে রাজী হলাম।
কথা দিলাম সুলতানা আপাকে জানাব
যে কামাল ভাই তাকে পছন্দ করে। কিন্তু
দিন যায়, মাস যায় জানানো আর হয় না।
কি করে হবে? আমিযতবার
সুলতানা আপার কাছে এই
কথা বলতে গিয়েছি ততবারই ভয়ে আমার
গলা শুকিয়েছে। আমি ভীতু,
তেলাপকা দেখে মরে যা এসব কত্ত রকমের
কথা শুনালো কামাল ভাই।
অবশেষে নিজেই একদিন
সুলতানা আপাকে জানালেন তার মনের কথা।
হলে প্রত্যাখ্যাত।
সুলতানা আপা বলে দিলেন প্রেম ট্রেম
করতে পারবেন না। এতই যদি ভাল
লাগে তবে যেন বাসায় লোক পাঠায়। তাই
করেছিলেন কামাল ভাই। এবার ভেবে দেখ,
যে মানুষ একটা মেয়েকে ভয় পেয়ে তার
সামনে দাঁড়াতে পারে না, যে মানুষ তার
ভালোবাসার কথা জানাতে আড়াই বছর
সময় নেয়, সে মানুষ কি করে অন্যের বউ
তুলে নিল??? বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের
মানুষকে শান্ত রাখতে বঙ্গবন্ধুর
পরিবারের প্রতি ঘৃনার জন্ম দিতে সব
রকমের চেষ্টা চালিয়েছে। কামাল ভাইও
সেই অপচেষ্টার শিকার। ৫ টাকার বাদাম
কিনে যে ছেলে তার ছোট বোন আর তার
বান্ধবীদের খুশি করতে পারত না তার
নামেই ছড়ানো হয়েছে ব্যাংক লুটের
কিচ্ছা-কাহিনী। আমার কথা হল কামাল
ভাই যদি এত বড়ই
লুটেরা হবে তাহলে সেসব টাকা গেল
কই??? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর
বাসায় কিছুই পাওয়া যায় নি। পাওয়া যায়
নি উল্লেখ করার মত তেমন কোন ব্যাংক
একাউন্ট। তাহলে ব্যাংক লুটের
টাকা কোথায় গেল?
তথ্য সুত্রঃ সায়মা অয়াজেদ পুতুলের আইডি।