যে কান্নাও নিরবে কাঁদে —————————
লিখেছেন, খলিলুর রহমান
এখনও দেখি শয়তানের মুচকি হাসি
ক্ষত শুকায়নি হয়নি এখনও বাসি।
বিড়ালগুলো যেন ঘুমন্ত বাঘ শিকারী
হীনতায় তাই দিয়েছে ভিনদেশে পাড়ি।
কুকুরগুলো শুকছে রক্তমাখা ধূলো
কামড়াবে আবারও পেলে শসা কিংবা মূলো।
হায়েনার দল মানচিত্র করেছে ফুটা
ঘরের খেয়ে গায়েই ফেলেছে ঝুটা।
রাতের অন্ধকারে নিভৃতে নিরবে
প্রদীপটা দিয়েছে নিভিয়ে আর কি হবে?
হায় হায় হায় কি করেছে বেহায়ার দল
কার বুকে চালিয়েছিস মরন বিষের কল?
ওরে ইবলিশ ওরে পাষুন্ড নর পিশাচ
ধিক্কার তোরে শতবার তুই কি চাস?
রক্ত নিবি তোর আর কতো রক্ত চাই
বাংলাকে তুই পুড়িয়ে করেছিস ছাঁই।
দুখির কান্না বাংলার কান্না শুনতে চাও
নিরবে নিরবে এই মাটিতে ফিরে যাও।
কান পেতে শুন ওরে অবুঝ মুখবন্ধ
এখনও মাটিতে শহীদের রক্তের গন্ধ।
আদর্শ আদর্শ বলে কি হবে করে চিৎকার
কি হবে এই স্বাধীনতা যাকে করেছো সৎকার?
চক্রান্তের জাল করিয়া বিস্তার করেছো কত ভুল
জাতি তোমাদের করবে না ক্ষমা কভু এক চুল।
রক্তে ভেজা সিংহাসন হবে আবার রক্তাক্ত
দুর হও দুর হও তোমার পাপ করো সমাপ্ত।
যার তর্জনীতে এতো জোর এত প্রতিবাদ
চরম শত্রুরাও কভু সাহস করেনি করতে প্রতিঘাত।
ভিনদেশী করাগার জল্লাদ খড়গ হস্তে দাঁড়িয়ে
স্বাধীনতার জন্য যে কল্লাটা দিয়েছিল বাড়িয়ে,
স্বদেশের কুলাঙ্গার শত্রুরা কভু চিনিল না তারে
করিল জীবন সংহার সে পিতার সপরিবারে।