জি নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা- রাজধানীর মালিবাগে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় দুই নারী গার্মেন্ট শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেপরোয়াভাবে ভাঙচুরের পর এবার বাসে আগুন দেওয়া শুরু করেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সুপ্রভাত ২টি, অনাবিল ১টি ও প্রচেষ্টার ২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চালক ও হেলপাররা। এ সময় চালকরা গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথে বের হয়ে যাচ্ছেন। আগুনের হাত থেকে গাড়িকে বাঁচাতেই তারা এ কৌশল বেছে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নুর মক্কা পরিবহনের চালক মেহেদী বলেন, ‘আমাদের ৭ টি গাড়ির সব গ্লাস ভেঙেছে, তা পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু যেভাবে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে, তাতে বাসের কিছু থাকবে না। তাই ঝুঁকি নিয়ে পালাচ্ছি।’
সবচেয়ে বেশি গাড়ি ভেঙেছে সুপ্রভাত পরিবহনের। পরিবহনটির অন্তত ৩০ টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নাইম নামে এক চালক বলেন, ‘গাড়ি ভেঙেছে কোনো কারণ ছাড়াই। যে বাস মেরেছে বিচার হলে তার হবে। বাকিগুলো কী দোষ করেছে? এখন আগুন দিচ্ছে তাহলে তো কিছুই থাকবে না।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ‘সুপ্রভাত’ পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মিম (১৬) ও পারভিন (২২) নামে দুই তরুণী নিহত হন। পরে জানা যায় তারা পোশাক শ্রমিক ছিলেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মালিবাগের রাস্তায় নেমে আসেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এসময় আবুল হোটেলের সামনে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।
বিকেলে বিক্ষুদ্ধদের সঙ্গে আরও কয়েকটি গার্মেন্টের কয়েকশ শ্রমিক রাস্তায় নেমে মালিবাগ থেকে রামপুরা অভিমুখী সড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। রাস্তার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তারা অবস্থান নিয়েছেন।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় বাসটির চালক ও বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
তথ্যসূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর।
