রাজশাহীতে ডিজি সময়োপযোগী নির্দেশনায় রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

0
15

রাজশাহীতে ডিজি সময়োপযোগী নির্দেশনায় রক্ষা পেল দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

জি নিউজ ডেস্কঃ বাঘা উপজেলার খোর্দ বাউসা গ্রামে ডিজি সময়োপযোগী নির্দেশনায় রক্ষা পেল প্রায় দশ হাজার শামুকখোল পাখি ও তাদের আবাস্থল

৩০ অক্টোবর ২০১৯ প্রথম আলো পত্রিকায় “পাখিদের উচ্ছেদে ১৫ দিন সময় বাগান মালিকের” শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিজি সাহেবের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার খোর্দ বাউসা গ্রামে অধিনায়ক র‍্যাব-৫ অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মাহফুজুর রহমান বিপিএম বিপদাপন্ন পাখীদের দেখতে যান।

চার বছর যাবত হাজার হাজার শামুকখোল পাখি প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে এই গ্রামের ফজলি আম গাছে এসে বাসা বাঁধে ও ডিম পাড়ে। বাচ্চা হলে ওদেরকে উড়তে শেখায় মা-বাবা পাখিরা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এরা এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। আশপাশের বিলের শামুক এদের প্রধান খাদ্য।তবে এরা আকারে বৃহৎ হওয়ায় আমগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং ইতোমধ্যে কিছু পুরাতন গাছ মারা গেছে। ফলে গাছের মালিকরা পাখীদের তাড়িয়ে দেয়ার ঘোষনা দেয়।

ডিজি স্যারের নির্দেশে বাগান মালিকদের সাথে আলোচনা করে ত্রিশের অধিক আম গাছের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয় এবং স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাকে গাছগুলোর কি ভাবে পরিচর্যা করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। বন্যপ্রানী সংরক্ষন কর্মকর্তা ও তাদের Wild Life Crime Control Unit (WCCU) কেও ডেকে আনা হয়। বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইনের শাস্তিমূলক ধারা সম্পর্কেও বাগান মালিক ও স্থানীয়দের ধারনা দেয়া হয়। বাঘা থানার ওসিকে সরেজমিনে পাখীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যেও অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, জেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু প্রিন্ট মিডিয়া ও টিভি চ্যানেল সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ও অধিনায়ক মহোদয়ের বক্তব্য গ্রহন করে।

সন্ধ্যা নাগাদ জানা যায় যে, মহামান্য হাইকোর্ট পাখীদের বাসা যেন কোন ভাবেই ভাংগা না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন