রামগঞ্জে মসজিদের অজুখানা ভাংচুর আহত-১
জি নিউজ ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মসজিদের নির্মানাধীন ওয়াশব্লক ও অজুখানা ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সফি উল্যাহ (৬০) নামের একজন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সফি উল্যাহ বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত বুধবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশারকোটা গ্রামের আলার বাড়ীর প্রবাসী হাজী মিজানুর রহমান চৌধুরী নিজস্ব অর্থায়নে তার বাড়ীর সামনে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। কিন্তু মসজিদের ওয়াশব্লক না থাকায় গত বুধবার ওয়াশব্লক নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্বাশবর্তী ভূঁইয়া বাড়ীর কালু মিয়ার ছেলে সেলিম ভূঁইয়া (৪৫) এর নেতৃত্বে একই বাড়ীর বতু, টিপু, দুলালসহ ৮/১০ জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দাতা মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফি উল্যাহর উপর হামলা করে ও নির্মাণাধীন ওয়াশব্লক ভাঙ্গচুর করে। এ সময় নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে আহত সফি উল্যাহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। গত দেড় বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে মসজিদের ওয়াশব্লক নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে প্রভাবশালী হাজী মোস্তফা ও সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মহল। এরই সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত বতু ও টিপু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে আমাদের জমি আছে। তাই আমরা ভাঙ্গচুর করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এসেছে। কোনভাবেই আমরা এখানে ওয়াশব্লক নির্মাণ করতে দিবো না।
আহত সফি উল্যাহ জানান, কয়েকবার জমির মাপ হলেও এখানে তাদের কোন জমি নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওয়াশব্লক নির্মাণকাজ শুরু করলে প্বাশর্তী ভূঁইয়া বাড়ীর লোকজন আমার উপর হামলা করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দাতা প্রবাসী হাজী মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রভাবশালী সফিকুল ইসলাম বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার একান্ত সহচর থেকে এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন আবার আওয়ামীলীগের সাথে মিশে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করে রাজত্ব হাছিল করতে চায়।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই শরীফ বলেন, আমি ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।