শায়েস্তাগঞ্জের বাজারগুলোতে গণশৌচাগার  না থাকায় দুর্ভোগে ক্রেতা বিক্রেতা

0
40

এমএইছ চৌধুরী, জুনাইদ শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন বাজারগুলোতে গণশৌচাগার না থাকায় দুর্ভোগের শিকার ক্রেতা বিক্রেতারা। একজন মানুষ প্রত্যহ সঠিক সময়ে মলমূত্র ত্যাগ করতে না পারলে নানাবিধ রোগের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জগতের সকল প্রাণির বেঁচে থাকার তাগিদে খাদ্য গ্রহন যেমন অত্যাবশ্যক ঠিক তেমনি মলমূত্র ত্যাগ করাও অতীব গুরুত্বপূর্ণ।এব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভিমত, একজন সুস্থ্য মানুষ প্রতিদিন পরিমিত খাবার গ্রহন করার পাশাপাশি গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ৩ লিটারের অধিক ও শীত প্রধান দেশে ২ লিটারের অধিক পানি পান করা মানব দেহের জন্য আবশ্যক। আবার ওই জলীয় অংশ মূত্র ত্যাগ করার মাধ্যমে মানব দেহের ভারসম্য রক্ষার জন্যও তাগিদ দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মলমূত্রের বেগ ধরে রাখার ফলে কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মূত্রের বেগ আটকে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন  গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর মধ্যে আলীগঞ্জ বাজার, দাউদনগর বাজার ও পুরান বাজারে নেই কোন গনশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট। পৌরসভার দাউদনগর বাজারে নামেমাত্র একটি গণ-শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বাজার কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে দেখা গেছে, অনেক বাড়ি বা জায়গার মালিক কোন টয়লেটের ব্যবস্থা না করেই দোকান ঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। ফলে টয়লেটের অভাবে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন সুযোগ বুঝে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করেন এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। এখানে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থাকার ফলে উপজেলার ৫-৬টি ইউনিয়নের জনসাধারণ প্রতিদিন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে আসেন তাদের দৈনন্দিন কেনাকাটা করার জন্য। কিন্তু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সমস্ত লোকজন। জনদুর্ভোগ লাঘবকল্পে এই জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনার দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদেরও এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেই। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।##

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন