শায়েস্তাগঞ্জের বাজার কাঁপাবে ৩০ মন ওজনের কালো মানিক!
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউপির নসরতপুর গ্রামে হাজী আঃ রহমান কালা মিয়ার খামারে আসন্ন কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য বিশালাকৃতির একটি ষায় গরু তৈরি করা হয়েছে। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩০ মন। এবার শায়েস্তাগঞ্জ গরুর বাজারে কাঁপাবে বিশালাকৃতির বড় কালো মানিক। খামারি পরিবারের সদস্যদের স্নেহ মমতায় ওই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক। বড় কালো মানিক নামটি রাখার পিছনে কারণ হলো, একই খামারে আরো একটি ছোট কালো মানিক ষাঁড় রয়েছে। যে কারণে ওই ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক, এটির ওজন প্রায় ৩০ মন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ষাঁড়টির মালিক মৃত হাজী আব্দুর রহমান কালা মিয়া গত দেড় মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন তখন ওই ষাঁড়টির বয়স ছিল ৪ বছর। ফিজিয়ান জাতের ওই ষাঁড়টি তার নিজের খামারের গাভীর দেয়া একটি বাচ্চা থেকে লালন পালন করে আসছিলেন। এখন এটির নাম রাখা হয়েছে বড় কালো মানিক। এ ব্যাপারে আলাপকালে খামারের মালিক মৃত হাজী আব্দুর রহমান কালা মিয়ার পুত্রবধূ পারুল বেগম জানান, তার শ্বশুর মৃত্যুর পর তিনি নিজেই খামারটির দায়িত্ব নেন। তার খামারে ৪জন শ্রমিক দিনরাত কাজ করছে। পারুল বেগম আরো জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় একটি পশু মেলা হয়েছিল। কিন্তু ওই মেলায় আমার বড় কালো মানিককে নেওয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে বড় কালো মানিকের সন্ধান জানেন না প্রানি সম্পদ কর্মকর্তারা। ওই খামারের মাধ্যমে তাদের পরিবার লাভবান বলেও জানান তিনি। তার খামারে ৪৫টি ছোট বড় সাইজের গবাদিপশু রয়েছে। এর মধ্যে দুধের গাভী ২৮ টি, ষাঁড় ২টি ও মাজারি সাইজের বাছুর ১৫টি। তবে সবার নজর কেঁড়েছে এই খামারের বড় কালো মানিক ষাঁড়টি। দেখতে বিশাল আকৃতির ও অত্যন্ত শান্ত প্রিকৃতির এই বড় কালো মানিকের সন্ধান এর পূর্বে তেমন কেউ জানেন নি।
স্থানীয়রা জানান, ওই বড় কালো মানিক শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বড় ষাঁড় হবে বলে তাদের ধারণা। প্রতিদিন ওই বিশাল আকৃতির বড় কালো মানিককে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন মৃত আব্দুর রহমান কালা মিয়ার বাড়িতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন। এ ব্যাপারে আলাপকালে খামারের শ্রমিক হেলাল মিয়া জানান, প্রতিদিন সকালে তিনি বড় কালো মানিককে ২কেজি গমের ভুষি, ২কেজি মসুর ডালের ভুষি, ১ কেজি ধানের কুড়া, ৩ কেজি ফিড, ১ কেজি খৈল, ১০ কেজি ধানের খড়, ও ৩০ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। বিকেলে ও একই ভাবে খাবার খাওয়াচ্ছেন। কালো মানিকের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দিনে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করানো হয়। এভাবে প্রতিদিন তিনি ১৫০০ টাকার খাদ্য খাওয়াচ্ছেন। তিনি কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ছাড়াই ষাঁড়টিকে লালন পালন করে আসছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের (দায়িত্বরত) কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ওই খামারে এত বড় ষাঁড় রয়েছে তার সন্ধান পূর্বে আমরা পাইনি। এখন যেহেতু সন্ধান পেয়েছি তাদেরকে অবশ্যই প্রাণি সম্পদ অফিসে এসে খামারের রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দেব। রেজিস্ট্রেশন করলে অফিস থেকে তাদেরকে উন্নত সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হবে।