শায়েস্তাগঞ্জে জড়াজীর্ণতায় জড়িয়ে আছে কমিউনিটি ক্লিনিক !

0
18

এম হায়দার চৌধুরী। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে :: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউপির নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘকাল থেকেই বেহাল দশায় চলছে। একবছর যাবৎ মারাত্মক ঝুকি নিয়ে দাপ্তরীক কাজকর্ম করে যাচ্ছেন ক্লিনিকের কর্মকর্তারা। এই কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩ জন সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই করোনাকালে এই এলাকার ৫টি গ্রামের মানুষের ভরসাস্থল নুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। যারা সেবা দিচ্ছেন তারা ও ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন আবার যারা সেবা গ্রহন করছেন তারা ও ঝুঁকিতে রয়েছেন। নুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কোন নিরাপত্ত বা বাউন্ডারী দেয়ল নেই। বৃষ্টি হলে ক্লিনিকের ছাদ বেয়ে ভিতরে অনবরত পানি পড়ে, যে কোন সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি না থাকলে স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের অনেক দূরে যেতে হতো, এতে সময় ও অর্থ ব্যয়সহ দুর্ভোগ বাড়তো। অনেকেই এখানে নানাবিধ সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছেন। নূরপুর গ্রামের আরিফ হোসেন খোকন বলেন, এই ক্লিনিক থেকে আশপাশের ৫টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছে। অসহায় ও গরিব মানুষের জন্য এই ক্লিনিকটি খুবই উপকারে এসেছে।

এ বিষয়ে নূরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের ইনচার্জ মোছাঃ মাহমুদা খাতুন বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মৌসুমি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন আমাদের কাছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি তাদের উন্নত সেবা দেয়ার। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের ক্লিনিকে রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত একবছর যাবৎ বৃষ্টি আর ছাদ ধসে পড়ার ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ক্লিনিকটি মেরামত করার জন্য একাধিক বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি কিন্তু অদ্যাবধি এর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোড় দাবি জানাই।

এ বিষয়ে একাধিকবার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন ও হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুখলিছুর রহমান উজ্জলকে কল দিলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

কোন মন্তব্য নেই