শায়েস্তাগঞ্জে ষাঁড়ের নাম জমিদার!দাম ৮ লাখ টাকা
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষনডোরা ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের আর্দশ এগ্রো ফার্মের স্বাত্তাধিকারি রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্নার ষাঁড়টির নাম রেখেছেন অলিপুরের জমিদার। তিনি পবিত্র ঈদূল আযহাকে সামনে রেখে বিশালাকৃতির এ ষাঁড়টি লালনপালন করেছেন। একেবারেই প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়ে উঠেছে অলিপুরের জমিদা। এটির ওজন ৮শ কেজি (২২ মণ)। এর দৈর্ঘ্য ৮৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬০ ইঞ্চি। খয়েরি রঙের আকর্ষণীয় ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৮ লাখ টাকা।
এক বছর আগে হবিগঞ্জ থেকে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা দিয়ে শাহিয়াল জাতের ষাঁড়টি কিনে পরিচর্যা শুরু করেন মুন্না । কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে অলিপুরের জমিদারকে। বিশালাকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন।
প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি কাঁচা ঘাস, ১০ কেজি সাইলেজ, ৫ কেজি ভুসি, ২ কেজি খৈল লাগে অলিপুরের জমিদারের খাবার ম্যানুতে।
শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দিনে তিনবার গোসল করানো হয়। পাশাপাশি পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিচর্যা চলে।
উপজেলার আলিপুরে অবস্থিত আর্দশ এগ্রো ফার্মে শাহিয়াল, ফিজিয়ান ও দেশাল জাতের ২৬টি ষাঁড় রয়েছে। এখানে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৮টি ষাঁড় । তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে অলিপুরের জমিদার। ২২ মণ ওজনের এ ষাঁড়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে পুরষ্কার জিতেছে।
আর্দশ এগ্রো ফার্মের স্বাত্তাধিকারি রাহাত মঈন উদ্দিন মুন্না বলেন, ২০২০ সালে আমার এগ্রো ফার্মের যাত্রা। দেড় বিঘা জমিতে এ ফার্মটি স্থাপন করি। মুলত শখের বসেই এগ্রো ফার্মটি দেয়া হয়েছিল। গত ৩ বছরে এ ফার্ম থেকে ভালই আয় হয়েছে। পরম মমতায় এক বছর যাবৎ ষাঁড়টি যত্ন সহকারে লালনপালন করে আসছি। শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি একে। আদর করে এর নাম দিয়েছি অলিপুরের জমিদার। তবে ষাঁড়টির নাম মুলত দিয়েছে আমার ছেলে। এ ফার্মে গরুর পাশাপাশি সোনালী ও লেয়ার মোরগও পালন করি।
প্রতিদিন ৪ জন শ্রমিক কাজ করে এ এগ্রো ফার্মে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন বলেন, অলিপুরের জমিদারই উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি । প্রাণিসম্পদ অফিস নিয়মিত দেখাশোনা করছে অলিপুরের জমিদারের।