শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার যত্রতত্র অবৈধ ঔষধের দোকান

0
149

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে :: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ঔষধের দোকান। এসমস্ত ঔষধ বিক্রির দোকানিদের নাই কোন প্রশিক্ষণ। ফলে ভূল চিকিৎসায় শত শত রোগীরা পড়ছেন বেকায়দায়। দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার পুরাণ বাজার, আলীগঞ্জ বাজার, সুতাং বাজার, শানখলা বাজার, কলিমনগরসহ আশপাশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অনুমোদন বিহীন ঔধের দোকানের কমতি নেই।
লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী, প্রশিক্ষণহীন বিক্রেতা নিয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ঔষধ বিক্রির দোকান, বিশেষকরে গ্রামঞ্চলের চা, পান ও মুদির দোকানেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ব্যথানাশকসহ নিম্ন মানের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ।
জানা যায়, ঔষধ বিক্রি আইন অনুযায়ী ফার্মেসীতে অন্য কোন পণ্য সামগ্রী থাকবে না। ফার্মেসী চালাতে অবশ্যই সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতা মূলক। কিন্তু কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই যেখানে সেখানে গড়ে ওঠেছে ঔষধের দোকান। এমনকি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই তারা বিভিন্ন রোগের ঔষধও বিক্রি করে আসছে। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত কার্যকর তদারকি না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলাসহ আশ পাশের গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাট হাজারসহ প্রত্যন্ত এলাকার প্রায় শতাধিক ফার্মেসী থাকলেও অধিকাংশ ফার্মেসীর সরকারি কোন অনুমতি বা লাইসেন্স নেই, এছাড়া উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধীক ঔষধের দোকান।
গত ২৬/০২/২০১৯ তারিখে বিভাগীয় ড্রাগ সুপার মোঃ সফিকুল ইসলাম এ এলাকায় পরিদর্শনে এসে কয়েকটি অবৈধ ফার্মেসীকে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। অবৈধ ফার্মেসীতে অভিযানের সংবাদ পেয়ে অনেক ফার্মেসীর মালিক দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দেয়। ফলে ওই সকল অবৈধ ফার্মেসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়না।
এ ব্যাপারে কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, ওইসব অবৈধ ফার্মেসীকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিবীড় তদারকির প্রয়োজন এবং সংশ্লিষ্ঠ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
অনুমোদন ছাড়া কোন ব্যক্তি বা ফার্মেসী কর্তৃক ঔষধ বিক্রি বা চিকিৎসা দেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ জেনেও গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বনাশ হচ্ছেন। ওই অসাধু ঔষধ বিক্রেতাদের এখনই দমন করা না গেলে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিমান দিনদিন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অত্র এলাকার সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই