শায়েস্তাগঞ্জে সবজির দামে আগুন! দামের রেকর্ড ভেঙেছে আলু!
এম হায়দার চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে:: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে শাক-সবজির দাম। ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে সবজি কিনতে গিয়ে। ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আলু। গরিবের সবজি নামে খ্যাত আলু এখন নাগালের বাইরে। একমাস আগে একটানা বৃষ্টি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ওই আকস্মিক বন্যায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র শাক-সবজি চাষ করা বিস্তীর্ণ ভূমি তলিয়ে যায়। এতে এলাকার সবজি চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে আগাম শীতকালীন শাক সবজির পাশাপাশি অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৌসুমী সবজির দাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আলু চাষে কোন প্রভাব না ফেললেও সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে আলু। নিত্য আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন অন্য সবজি কিনতে না পারলেও, আলুই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। বর্তমান বাজারে আলু , উচ্চ মূল্যের সবজির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। যে কারণে, আলু এখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। বর্তমান বাজারে ডায়মন্ড আলু ৬০/৭০ টাকা দেশী আলু ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পেঁয়াজ ১২০ টাকা, করলা ও ফুল কপি ১২০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, লাল শাক ও ডাটা শাক ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০/৪০ টাকা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহারি সবজি দিয়ে সাজানো রয়েছে সবজির দোকানগুলো। দাউদনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল কাদের আলাপকালে বলেন, পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই , যা পাওয়া যায়, যে দামে পাওয়া যায় তাই কিনতে হয় এবং বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে সবজির দাম বেশি, তবে আমদানি বেশী হলে, দাম কমতে শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে রিকশা চালক সোহেল মিয়া বলেন, সারাদিনে ৫/৭শ টাকা রোজগার করে বাজারে গেলে মাথা চক্কর দেয়। শাক সবজি, মাছ, চাল, ডাল সবকিছুই বাড়তি দামে কিনতে হয়। টাকার অংক ঠিক রেখে বাজার করতে গেলে সংগত কারণেই পণ্যের পরিমাণ কমাতে হয়। তাই শাক সবজি কম খেয়ে জীবন ধারণ করার অনুশীলন করতে হচ্ছে। তবে, অনেকেই মনে করেন, সবাই নিজ নিজ বাড়ির আঙিনায় ব্যাপক ভাবে শাক সবজি চাষে উদ্যোগী হলে, সবজি সমস্যার সমাধান সম্ভব।