শেরপুরে দেদারচ্ছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি

0
1

শেরপুরে দেদারচ্ছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি

মোঃজিয়াউল হক, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলা সদর সহ নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেদারচ্ছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। ফলে
যত্রতত্র ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ পলিথিনে। ফুটপাত থেকে শপিংমল,কাঁচাবাজার থেকে হোটেল-রেষ্টুরেন্ট পর্যন্ত পলিথিনে ছড়াছড়ি। এতে ব্যাপক হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ সহ জীববৈচত্র। এখানকার বাজারগুলোতে মাছ, তরকারী থেকে শুরু করে কাপড়-জুতাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ।

জানা গেছে, ১৯৮২ সাল থেকে বাণিজ্যিক ভাবে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশ সরকার ময়মনসিংহ বিভাগকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করলেও বাস্তবে তার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছেনা। নিষিদ্ধ ঘোষনার পর এর বিরুদ্ধে অভিযান এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের কারণে পলিথিন উৎপাদন এবং ব্যবহার সাময়িক সময়ের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।পরিবেশ বাঁচাতে সে সময় এ উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। উপযুক্ত তদারকি এবং বিকল্প পরিবেশসম্মত ব্যাগের অভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ পূণরায় আস্তে আস্তে বাজারে ফিরে আসতে শুরু করে। বর্তমানে পলিথিন বিরোধী অভিযান বন্ধ এবং আইনের কোন প্রয়োগ না থাকায় শেরপুর জেলা সদর সহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পলিথিন অবাধে বিক্র ও ব্যবহার হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর শেরপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মারুফুর রহমান মারুফ বলেন, “এ ব্যাপারে পরিবেশবাদি সংগঠন গ্রীণ বয়েজ শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মারুফ বলেন, “পলিথিন পুনরুত্থান রোধ করা সম্ভব না হলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এর উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ করা জরুরি। তা না হলে সর্বোপরি জনস্বাস্থ্য ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়বে। এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে পাটশিল্পকে চাঙ্গা করার জোরালো দাবিও জানান তিনি”।

পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলার ইন্সপেক্টর সুশীল কুমার দাস এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই