শেরপুরে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান সুরভী সেরনিয়াবাত
মোঃজিয়াউল হক, শেরপুর প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন শেরপুরের সেরনিয়াবাত বংশের মেয়ে সুরভী সেরনিয়াবাত। সুরভী সেরনিয়াবাত
শেরপুর-১ সংরক্ষিত নারী আসন ৩২১ আসনের জন্য ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন শেরপুরের বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী। এদের মধ্যে সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সহ হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী রয়েছেন।
দেশ পরিচালনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নারীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই এবার মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন জানিয়ে সুরভী সেরনিয়াবাত বলেন, আমি নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে চাই। আর এ কারণে আমি সংরক্ষিত আসনের সদস্য হওয়ার আগ্রহী হয়েছি। আমি সব সময় বিগত দিনগুলোতে সবার সুখে দুঃখে পাশে ছিলাম। সব সময় পাশে থাকতে চাই। গতবার মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও আমার বিশ্বাস এবার আমি মনোনয়ন পাবো।
জানা যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র লীগ দিয়ে শুরু হয় রাজধানীর হাতেখড়ি। এরপর জনসেবার ব্রত নিয়ে শেরপুর পৌরসভার নৌকা মনোনীত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এছাড়াও জাতীয় নির্বাচনে শেরপুর পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক (মহিলা) দায়িত্ব পালন সহ আওয়ামীলীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনের দিকে ছিলেন। সেই সময়টা ছিলো বিএনপির স্বর্ণযোগ। শুধু সেরনিয়াবাত বংশের মেয়ে হওয়ায় বিএনপির শাসনামলে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করলেও চাকরি বঞ্চিত সহ নানা হয়রানির স্বীকার হয়েছেন তিনি।
তার বাবা সেরনিয়াবাত আব্দুল ওয়াদুদ বরিশাল বিভাগের আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরাল গ্রামের মানুষ হলেও চাকুরীর সুবাধে ১৯৬৩ সালে শেরপুরে আসেন এবং স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সুরভীর মামা। এবং তার বড় ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ হলো মামাতো ভাই। এছাড়াও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক তার বাবার খালাতো ভাই। সব মিলিয়ে তার সমস্ত পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।