শ্রীপুরের ব্যাটারি তৈরী কারখানা কেন সরানো হবে না জানতে চেয়েছে আদালত!

0
44

জি নিউজ ডেস্ক: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে অবস্থিত গ্যালি ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যাটারি তৈরী কারখানাটি অবশেষে বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশে কারখানার সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।তবে ১৮ আগষ্ট শুক্রবার তা গনমাধ্যমকে জানানো হয়।

এর আগে গ্যালী ইন্ডাষ্ট্রিজ বিষাক্ত ব্যাটারী তৈরীর কারখানা বন্ধের দাবীতে ৩ দফা মানববন্ধন, অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানিয় এলাকাবাসী। কারখানায় সিসা ও অন্যান্য কেমিক্যাল পোড়ানোয় চরম প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর।কারখানার পাশে কৃষিজমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, জমি চাষ করতে গিয়ে অনেক কৃষক অসুস্থ হয়েছে, মারা যাচ্ছে গবাদিপশু। কারখানার আশপাশের মানুষসহ জীববৈচিত্র্য রয়েছে চরম হুমকিতে। এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে লিখিত অভিযোগ করে জেলা প্রসাশকের দারস্ত হয়েছিল শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালিত করে। সবর্শেষ কাখানাটিকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদলত।এই কারখানার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ দৈনিক তৃতীয় মাত্রা সহ বিভিন্ন সময়ে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর যথাযথ কতৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি।

সর্বশেষ এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র এডভোকেট আশরাফুল আলম সজীব, স্বপ্রনোদিত হয়ে ওই কারখানাটি কেন বন্ধ করা হবেনা-জানতে চেয়ে মহামান্য আদালতে রিট করেছিলেন। উচ্চ আদালত রিটের শুনানি শেষে কারখানা সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিবেশ দূষণে ক্ষতির পরিমান ও বৈধতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একই সাথে কারখানাটি কেন সরিয়ে নেওয়া হবে না তা জানাতে ৬ সপ্তাহের সময় বেধে দিয়েছে মহামান্য আদালত।

বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের সমন্বয়কারী আনোয়ার হোসেন জানান, কারখানা বন্ধ ঘোষনা করায় প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আজথেকে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা মুক্ত নিশ্বাস পাবে।পরিবেশ দূর্ষনথেকে আমরা বাঁচতে পারবো।

গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, উন্মুক্ত স্থানে গ্যালি ইন্ডাস্ট্রিজ নামক ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানাটি পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকি। তাই এর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই