গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল ছাত্রী প্রেমের টানে স্বেচ্ছায় প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় ছাত্রীর মাতা প্রেমিককে ফাঁসাতে অপহরনের সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাউনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুত্তীর্ণ এসএসসির ছাত্রী (১৬) তার নানা হামিদুল ইসলামের বাড়ীতে থেকে একই এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে নয়ন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের টানে স্কুল ছাত্রী গত ২৩ জুলাই নয়ন মিয়ার সাথে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রীর মাতা উপজেলার কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, গাজীপুরে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরনের মামলা দায়ের করেন। স্কুল ছাত্রী মোবাইল ফোনে জানায়, নয়ন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তার পিতা মাতা তাকে তাদের কাপাসিয়ার বাড়ীতে আটকে রেখে বেধড়ক মারপিটসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পরে সে বাধ্য হয়ে তার পিতার বাড়ী থেকে পালিয়ে স্ব ইচ্ছায় নয়ন মিয়ার সাথে চলে যায়। তাকে কেউ অপহরন করেনি। অপহরনের অভিযোগটি সঠিক নয়। তার মা নয়নের পরিবারকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য মামলাটি দায়ের করেছে। বাউনী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার জানান, এই ছাত্রীটি আগেও এই ছেলের সাথে সম্পর্ক করে ছেলের বাড়ীতে চলে গিয়েছিল। এ নিয়ে একাধিক শালিসও হয়েছিল। অপহরনের ঘটনাটি সঠিক না। স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরনের ঘটনা সঠিক নয়, এটি প্রেম গঠিত বিষয়। এর আগেও মেয়ে ইচ্ছা করে ছেলের বাড়ীতে চলে গিয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাপাসিয়া থানার ওসি অপারেশন মনিরুজ্জামান জানান, অপহরনের মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। প্রেম গঠিত বিষয় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।