শ্রীপুরে ছাত্রীর রহস্য জনক মৃত্যু

0
230
জি নিউজ, শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেপির বাড়ী (ছাতির বাজার)গ্রামে মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোড় করে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব,বাবা বিয়ে দিবে মেয়েকে, বিয়ে দিয়েই বিয়ে করবে বাবা।এমটাই আশা একজন পাসন্ড বাবার, একাধিক বিয়ে করাই যার নেশা। এমতাবস্থায় বুধবার বিকাল ৫ টায় নিজ ঘরেই কুরআন শরিফ পড়ার পর আত্যহত্মা করেছে মেধাবী ছাত্রী সুমা আক্তার মুন্নি (১৮)।লেখাপড়ার প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি থাকার পরও বাবার জোড় প্রস্তাবে বাল্য বিয়ের শিকার হতে হয়েছে মাত্র ১৬ বছর বয়সে। মেধাবী ওই ছাত্রীর পিতার নাম মাসুদ রানা। বিয়ে করার পরও প্রবল ইচ্ছা শক্তি ছিল পড়ালেখা করার জন্য। আর তাই মেয়ের মা আঞ্জুমান আরা মেয়েকে মাওনা ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু দূর্ভাগা কপালে জোটেনি সে স্বামীর সংসার। মাত্র ৫মাসের মধ্যেই স্বামীর পরকিয়ার জন্য সংসার ছাড়তে হলো সুমার। এরপর থেকেই আবার বাবার বাড়ী টেপিরবাড়ীতে ফিরে আসা। কিন্তু মেয়ের বাবা মেয়ের মাকে নিয়মিত নির্যাতন করতো, এটা দেখতো হত নিরব ভূমিকায়। আঞ্জুমান আরা বলেন, স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার ছিলাম নিত্যদিন। গত ১০বছর আগে আমার স্বামী মৌখিক ভাবে তালাক দিয়েছিল। পরে স্হানীয় ভাবে মিমাংসা করে পুনরায় সংসার করি। আবারও ৬মাস আগে তালাক দেই। এরপর থেকে আমি আলাদা ভাবে স্বামীর বাড়ীতেই থাকি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমাকে মারধর করার পর আমি বাপের বাড়ী শ্রীপুর পৌর এলাকার কড়ইতলা গ্রামে চলে যায়। আজ হঠাৎ মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দ্রুত চলে আসি। আসার পর আমার শাশুরী আমাকে মারধর করা শুরু করে। আমার বিশ্বাস মুন্নি আত্মহত্যা করতে পারেনা। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন