শ্রীপুরে প্রথম স্ত্রী ও স্বজনদের হামলায় শিশুসহ আহত-৪

0
14

শ্রীপুরে প্রথম স্ত্রী ও স্বজনদের হামলায় শিশুসহ আহত-৪

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরে শ্রীপুরে স্বামীর সম্পত্তি ও ব্যবসা থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার শিশু সন্তানকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রথম স্ত্রী ও তার স্বজনেরা হামলা করে আহত করেছে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রী পায়েল সরকার হামলাকারীদের অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় মামলা দােেয়র করেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১১ টায় মাওনা চৌরাস্তার আলহেরা হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ভাইরালও হয়েছে।

আহতরা হলেন প্রয়াত মোশারফ সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী পায়েল সরকার (৩২), তার ছেলে নাফি সরকার (০১), পায়েল সরকারের ভাই মনির হোসেন মামুন (২১) ও বাঁচাতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ইনজুর হোসেন (৩০)। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখম গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রের্ফাড করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, প্রয়াত মোশারফ সরকারের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আকতার (৪৪), তার ভাই লাভলু সিকদার (৪২), তার স্ত্রী নরুন্নাহার (৩৮), তাদেও ছেলে নুর মোহাম্মদ নিপু সিকদার (২০), ড্রাইভার আলমগীর হোসেন (২৮), গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস (৪৮), অমিও (২০), সুমাইয়া (১৯), আছমা (৪০) ও সাগর (২২)।

মামলার বাদী পায়েল সরকার জানান, গত বছরের ২২ অক্টোবর তার তার স্বামী মোশারফ সরকার মারা যায়। এরপর থেকে আসামীরা স্বামীর সম্পত্তি ও ব্যবসা থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে এলাকা ছাড়া করার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তাদের অব্যাহত নির্যাতন ও হুমকির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। সিএনজি থেকে নামা পরপরই পূর্ব থেকে উঁৎ পেতে থাকা আসামীরা তাদের ওপর হামলা করে। এসময় তার কোলে থাকা এক বছর বয়সী ছেলে নাফি সরকারকে টেনে নিয়ে সড়কের উপর ফেলে দেয়। তার ছোট ভাই মনির হোসেন মামুন বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আসামীরা তাকে রাম-দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখম গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রের্ফাড করেন।

তিনি আরো জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আসামীরা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি ভাড়া বাসায় থাকি। আমার স্বামীর বাড়ি ভাড়ার টাকা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ি ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য একের পর এক হয়রানী করে যাচ্ছে। আমাকে আমার স্বামীর প্রাপ্য সকল কিছু থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি পৌরসভায় একাধিকবার বিচার চেয়ে ও বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামীরা।

অভিযুক্ত লাভলু সরকার জানান, ওই দিন সিএনজি থেকে নেমে আমাকে দেখেই পায়েল সরকার ও তার ভাই আমাকে টেনে হিচড়ে লাঞ্চিত করেছে। আমি তাকে হামলা ও মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মর্কতা ও শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় এ তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, শিশুসহ হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করা সমভব হবে।

কোন মন্তব্য নেই