জি নিউজ ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামে গ্যালী ইন্ডাষ্ট্রিজ বিষাক্ত ব্যাটারী তৈরীর কারখানা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন, অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানিয় এলাকাবাসী। বুধবার (৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্যালী ইন্ডাষ্ট্রিজ ব্যাটারী কারখানা বন্ধের দাবীতে কারখানার সামনে মানববন্ধন, অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচী পালন করাহয়। অধ্যাপক এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিলাল উদ্দিন দুলাল, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবউদ্দিন, গনজাগরন মঞ্চের আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এলাকাবাসী জানায়, গ্যালী ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ব্যাটারি তৈরির কারখানা কারনে স্কুলের বাচ্চাদের লেখাপড়া নষ্টহচ্ছে। কারখানায় সিসা ও অন্যান্য কেমিক্যাল পোড়ানোয় চরম প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর।কারখানার পাশে কৃষিজমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, জমি চাষ করতে গিয়ে অনেক কৃষক অসুস্থ হয়েছে, মারা যাচ্ছে গবাদিপশু। কারখানার আশপাশের মানুষসহ জীববৈচিত্র্য রয়েছে চরম হুমকিতে। এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে লিখিত অভিযোগ করে জেলা প্রসাশকের দারস্ত হয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।এই কারখানার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ও বিভিন্ন সময়ে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও কোন কাজ হচ্ছে না।তাই আমরা যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি গ্যালী ইন্ডাস্ট্রিজের এই বিষাক্ত কারখানা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাহিদা আক্তার বলে, কারখানার বিষাক্ত গ্যাসে আমারা স্কুলে ক্লাস করতে পারি না। চোঁখ জালা পোড়া, মাথা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে প্রায় সময়ই অসুস্থ হয়ে যাই।আমরা এই গ্যাস থেকে বাঁচতে চাই,বিশুদ্ধ নিশ্বাস নিতে চাই। এই কারখানার শ্রমিক শাহেদ ও তার বাবা-মা অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেন, আমার সন্তান এ কারখানায় কাজ করতে এলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার ছেলেকে দিয়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ করানোর ফলে আমার ছেলে চারটি আঙ্গুল হারিয়েছে। সে এখন পুঙ্গ হয়ে হাতে কাজ করতে পারছে না। আমার ছেলে যাতে ভবিষ্যতে কিছু করে খেতে পারে এর ব্যবস্থা করার দাবী জানাচ্ছি। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার জানান, কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ থাকায় গত ৩১ জুলাই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রামমাণ আদালত। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সচেতন না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দ্রুত কারখানাটি সিলগালা করার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।