শ্রীপুরে ‘রজনী’ সয়াবিন তেল বোতলজাত করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।
আনোয়ার হোসেন (বিশেষ প্রতিনিধি):-
খোলা বাজারের সব তেল-ই কি স্বাস্থ্যকর ? উত্তরটা স্পষ্ট হয় তখন, যখন সে তেল উৎপাদন অথবা তেলের মান শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামে একটি বাড়ির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে উঠেছে রজনী নামের একটি সয়াবিন তেলের প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্যাকেজিং শেষে ওই তেল আবার ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে খোলা বাজারে। পাম অয়েল মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি রজনী নামের এ তেল প্যাকেজিং করে খোলা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে ভোক্তারা সে তেল স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করছেন। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে গোটা দেশের মানুষ।
গতকাল সোমবার ওই কারখানায় সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় ১৪ বছরের এক কিশোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সরাসরি পামঅয়েলের ড্রাম থেকে ফিল্টারিং ছাড়া রজনী নামের স্টিকার লাগানো বোতলে তেল বোতলজাত করছেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা হাতে এভাবে তেল বোতলজাত করা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত কাজ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশুশ্রমের মাধ্যমে তেল বোতলজাত করা প্রসঙ্গে কারখানার মালিক মাহবুবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমাদের মেশিনে সমস্যা হয়েছে। এ কারনে ওইভাবে তেল বোতলজাত করা হচ্ছে। ওই কিশোর আমাদের নিজস্ব শ্রমিক নয়, বেড়াতে এসেছে তাই ওখানে কিছু সময় কাজ করছে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ওখানে বোতলজাত বন্ধ করে দিবো। এছাড়াও বিএসটিআইয়ের ল্যাব রিপোর্ট দেখতে চাইলে কারখানাটির মালিক মাহবুব বলেন, ওই ল্যাব রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। সেটা কেমিস্টের কাছে রয়েছে।
শ্রীপুর পৌরসভায় ভোক্তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিতে কাজ করছেন স্যানেটারী ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন। রজনী তেলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীকাল এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।