গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামে খিরু নদীর তীরে ব্রিজ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানিয় এলাকাবাসী।
শনিবার (২১ জুলাই) সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এসময় স্থানিয়রা বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কয়েকটি নদী। রাত নেমে এলেই উপজেলার বিভিন্ন নদীতে চলে বালুবাহী বড় বড় ভলগেট। শ্রীপুর-বরমী সড়কটি বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে যান চলা চল বন্ধ থাকায় বালু ব্যবসায়ীরা বরমীর শীতলক্ষ্যা, বানার, কাওরাইদ এলাকার খিরু নদী ব্যবহার করে বালু নিয়ে পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় আসা যাওয়া করে। এসময় রাতের বেলায় অসাবধানতা বশত বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাওরাইদ বাজার সংলগ্ন খিরু নদীর উপর কাওরাইদ-গয়েশ পুর রেল সেতু ও কাওরাইদ-গয়েশপুর সেতু। সোনাব এলাকায় সোনাব-উড়াহাটি সেতু ও একটি রাবার ড্রাম। উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুরে হয়দেবপুর-পারুলদিয়া সেতু।কিন্তু বর্তমানে বালুবাহী ট্রলারের আঘাতে প্রতিনিয়ত ব্রিজের পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়াবে।উক্ত মানববন্ধনে স্থানিয়রা বক্তব্য রাখেন। এসময় কাওরাইদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হারুন ফকির বলেন,সরকার জনগনের যাতায়াতের সুবিধার্থে কাওরাইদ বাজারসহ পার্শ্ববর্তী অন্য একটি স্থানে গফরগাঁওয়ের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনে র্দীর্ঘ দিন আগে যান চলারলের জন্য দুটি ও ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেল সড়কের কাওরাইদ রেল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
ধামলই গ্রামের এডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, খিরু নদীতে বালুবাহী ট্রলারের ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে পড়ছে ব্রিজগুলো। ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজের পিলার গুলো অনেকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বালু ব্যবসায়ীরা ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের স্থানে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে আস্তর লেপ দিয়ে সাময়িক ব্যবস্থা নিলেও এর স্থায়িত্ব খুব কম। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ গুলো রক্ষার্থে এলাকা বাসিরা এক হয়ে খিরু নদীতে বালুবাহী ট্রলার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কামরুল হাসান মন্ডল, মাসুদ রানা, আতিকুল ইসলাম,জুয়েল রানা প্রমুখ ।