শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বন্ধকরে মাসব্যাপী ‘তাঁতবস্ত্র হস্তক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রদর্শনীর নামে মেলার প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠ বন্ধ করে বিভিন্ন স্টলের কাজ চলছে।
জানা গেছে, স্কুল মাঠে মেলা চত্বরে তৈরি করা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশটির মতো স্টল এবং বিভিন্ন ধরনের বিনোদন মূলক রাইট যা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক। আর প্রতি স্টলের ভাড়া দিন প্রতি এক হাজার থেকে পনের’শ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র জানায়, মেলা শুরু হওয়ার পর যখন বিভিন্ন শো প্রচারের মাইকগুলো উচ্চ শব্দে প্রচার করে থাকবে তখন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়াও সামনে পরীক্ষা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি এবং এই বিদ্যালয় থেকে যেন মেলাটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
অভিভাবকরা বলেন, স্কুল মাঠে মেলার বিষয়টিকে প্রশাসন কীভাবে অনুমতি দিল, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তা ছাড়া মেলার নামে যদি জুয়া ও অশ্নীল নৃত্য দেখায় যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়ার মনোযোগ হাড়াবে। মেলাটি স্কুল মাঠে না দিয়ে, অন্য জায়গাতেও দিতে পারতো।
মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্জাহান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্কুল মাঠ না হয়ে অন্য কোন জায়গাতেও মেলাটি দিলে ভালো হতো, শিক্ষার্থীরা সকালের এসমলি ক্লাস করতে পারছেনা। আমি গত ২৫ ডিসেম্বর শিক্ষা সফরে সিলেট চলে যাই। ঘুরে এসে দেখি মেলার প্রস্তুতি কাজ চলছে। বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে মেলার অনুমতি রয়েছে বলে জানান, পরে মেলা অনুমতির কাগজপত্র আমার কাছে পাটিয়ে দিয়েছে। এর পরে আমার আর কিছু বলার থাকে না যে হোতু উপরের অনুমতি রয়েছে।
মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড.মো.হারুন অর-রশিদ ফরিদ বলেন, মাঠটি আমাদের একার না, এখানে তিনটি মাঠ মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, মাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও মাওনা ঈদ গাঁ মাঠ রয়েছে। তো আমাদের একার কিছু করার নাই, মেলা কমিটি প্রশাসনিক ভাবে লিখিত অনুমতি এনেছে। এখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখলে ভাল হয়।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমি শোনেছি, জেলা থেকে মেলা আয়োজক কমিটি একটি অনুমোদন এনেছে তবে আমরা এখনো কনফ্রাম না। আমি জেলায় যোগাযোগ করে বিষয়টি জানবো আসলে তারা অনুমতি পেয়েছে কিনা। অনুমতি না থাকলে কোনমতেই মেলা করতে পারবে না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিয়াকত আলী বলেন, আমার জানা মতে স্কুল কর্তৃপক্ষর সাথে কথা বলে লিখিত অনুমোদন এবং কন্ডিশনের মাধ্যমে মেলা আয়োজক কমিটি মেলার আয়োজন করছেন।