শ্রীপুরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

0
170

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে তার পাশেই আত্নহত্যা করেন স্বামী। স্বামী ও স্ত্রী দুজনই স্থানিয় গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটার দিকে পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারগারচালা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত স্বামী মোর্শেদ আলম (৩২) নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সিরাজ সরকারের ছেলে। সে স্থানীয় টি ডিজাইন কারখানার শ্রমিক। গুরুতর আহত স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (২০) স্থানীয় এসকিউ সেলসিয়াস নামের এক পোশাক কারখানার শ্রমিক।তাদের সংসারে স্বপ্নিল(৪) নামের এক শিশু সন্তান আছে।গত ৭ বছর আগে পৌর এলাকার দারগারচালা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে স্বপ্নার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মোর্শেদ আলম স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ীতেই বসবাস করে আসছিল।

পরিবারের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, গত সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে স্বপ্না ও মোর্শেদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি ছেলের পরিবার মেনে না নেয়ায় মেয়ের বাড়িতেই তারা বসবাস করত। এসব কারণেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া লেগেই থাকত। আজ শনিবার সকালে তাঁরা উভয়েই কারখানার কাজে যোগ দেয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে সড়ক ধরে হেটে কিছু দুর যাওয়ার পরই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে স্বামী তার সাথে থাকা ছুড়ি দিয়ে স্ত্রীকে ছুড়িকাঘাত করেন। এসময় স্ত্রী মাটিতে পড়ে গেলে একই ছুড়ি দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করেন র্মোশেদ আলম। এ ঘটনা পথচারীরা দেখে ডাকচিৎকার শুরু করলে তার স্বজনরা এসে উভয়কে উদ্ধার করেন।

স্বপ্নার ভাই শাহজালাল জানান, লোকজনের ডাক চিৎকারে দৌড়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে মোর্শেদ আলম মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বোন স্বপ্না আক্তার। গুরুতর আহত স্বপ্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রায়হান জানান, মোর্শেদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ ইসলাম জানান, ধারণা করা যাচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা, তদন্ত করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হবে।

কোন মন্তব্য নেই