শ্রীপুরে ৩০০ টাকায় মানুুষ খুনের আসামি গ্রেফতার।

0
195

জি নিউজ ডেস্কঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন রাজাবাড়ী ইউনিয়নে চাঞ্চল্য কর হত্যা এক আসামি গ্রেফতার করলো শ্রীপুর থানার এস আই শহিদুল, মানবিক মূল্যবোধকে ধংসের সীমানায় পৌছে দিয়েছে। নেশার টাকার জন্য ছেলে বাবাকে এমনকি গর্ভধারীনি মাকেও মারধরের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সামান্য নেশার টাকার জন্য কারো জীবন ছিনিয়ে নিতেও দ্বিধাবোধ করছেনা মাদকসেবীরা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ৬ই জানুয়ারী। নেশার ৩০০টাকা জোগানের জন্য সহপাঠিদের সাথে হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিলো হৃদয় ওরফে ব্যাটারী হৃদয় নামে এক যুবক। গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঞ্চল্যকর এক কৃষক হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামী হৃদয় ওরফে ব্যাটারী হৃদয়কে শ্রীপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করার পর তার কাছ থেকেই জানা যায় ঐসব ভয়ংকর তথ্য।সে ডোয়াইবাড়ী গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রদত্ত তথ্য ও গোপান সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ জুন ভোর রাতে হৃদয় ওরফে ব্যাটারী হৃদয় কে তার নানার বাড়ী ডোয়াইবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বর্ণনা মতে, আমার সহযোগী আল-আমীন, নাজমুল হাসান হৃদয় ওরফে মামু হৃদয় এবং অন্তর আমাকে ঘটনার রাতে ৮টায় ফোন করে আসতে বলে, আমি তাদের এখানে আসলে তাদের কাছে লোহার রড, দা, চাপাতি, সাবল দেখতে পাই। পরে জিজ্ঞাসা করি কোথায় যাইতে হইবে তারা বলে কাজ আছে। পরে রাত ১.৩০ মিনিটের সময় আখক্ষেতে পাহাড়ারত আমির হোসেন মোল্লা (৫৫)- এর বাড়ীর পার্শ্বে টিনের ছাপড়ার ভিতরে ঢুকে। আমি কিছু বুঝার আগেই হঠাৎ তার (আমির হোসেনর) বুকের উপর উঠে মুখে জাপরিয়ে ধরে এলোপাথারী ভাবে কুপাতে থাকে। এ সময় ডান কাঁধে, নাকে, বাম গালে, ডান হাতে কবব্জি সহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। আমিও তাদের সাথে দৌড়ে পালাই। নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা জানান, ঐ সময় স্বামীর ডাকচিৎকারে আমার ছেলে মনির হোসেন ও আশ পাশের লোকজন আসিয়া তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসে নিয়ে আসেন। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। কিন্তু পথিমধ্যে সে আমাকে তার হত্যাকারীদের নাম ও বর্ণনা দিয়ে যায়। নিহতের নাতী আল্লাহর দান বালিকা মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী আনঞ্জুমান (১৩) জানান, তাদের দুই বোন আজ অসহায় হয়ে গেলো । শিশু বয়সে পিতার মৃত্যুর পর তার দাদাই তাদেরকে লালন-পালন করে আসছিলো। বর্তমানে তাদের পড়া-লেখা, দেখাশুনা, বরন-পোষ করার মতো আর কেহ রইলনা। থানার দারোগা (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মোল্লা) বর্তমানে বিভিন্ন খরচ দিয়ে আমাদের সহায়তা করছে। যারা তার দাদাকে খুন করেছে তাদের ফাঁসি চেয়ে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে সে প্রথমে ময়মনসিংহ, পরে মনোহরদী ও সর্বশেষ ত্রিশালে লোকিয়ে ছিলো। তবে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ জুন ভোর রাতে আসামীর নানার বাড়ী ডোয়াইবাড়ী আসছে জানার পর সেখান। থেকে হৃদয় ওরফে ব্যাটারী হৃদয় কে গ্রেফতার করি। পরে আসামীর হত্যা কান্ডের বর্ণনা দেন। তাতে সে বলে, তার বন্ধু আল-আমীন, নাজমুল হাসান হৃদয় ওরফে মামু হৃদয় ও অন্তরের সাথে সব সময় নেশার আড্ডা জমাতো। নেশার টাকা যোগার করতে তারা বিভিন্ন জায়গা অপকর্ম করে বেড়াতো। ঘটনার দিন তার নেশার টাকা ছিলনা বলে জানায় সে। এরপর মামু হৃদয় তার সাথে দেখা হলে সে তাকে বলে “কাজ আছে টাকা হবে”। এ কথা বলে তার হাতে একটি লোহাড় রড দিয়ে তাদের সাথে যেতে বলে। এর পর নেশার টাকার আসায় আমির হোসেনকে হত্যার জন্য ঝাপিয়ে পরে তারা। ঘটনার পর তাকে ৩০০টাকা দেয়া হয় বলেও জানায় সে। পরবর্তীতে ৭ জুন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় ১৩/১৮, ধারা-৩০২/৩৪পেনাল কোড দায়ের করেন

কোন মন্তব্য নেই