মোঃ ইসমাঈল হোসেন মাস্টারঃ-গাজীপুর শ্রীপুরের উত্তর সিমানা,কাওরাইদ টু জয়দেবপুর,রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটির সংষ্কারের অভাবে প্রতিদিন গালি খায় জনপ্রতিনিধিরা!
গাজীপুর জেলার উত্তর সীমানার শ্রীপুর থানার কাওরাইদ রেলষ্টেশন থেকে রেললাইনের পাশ দিয়ে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি পরিপূর্নভাবে নির্মান করা হয়নি। মাঝে মাঝে পাকা থাকলেও অনেক অংশে এখনো কাঁচা। রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটি নির্মান হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে সীমাহীন। সাশ্রয় হবে সময় বাঁচবে অতিরিক্ত খরচ এবং বেড়ে যাবে কর্মঘন্টা।
অধিক জনগুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি নির্মানের জন্য গণমানুষের দাবী দীর্ঘ সময়ের।
ইতিমধ্যে কাওরাইদ টু জয়দেবপুর রেললাইনের পাশ দিয়ে রাস্তাটি সংষ্কার এবং পুনঃনির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
(রাস্তাটি শ্রীপুর উপজেলার উত্তর সিমানা, কাওরাইদ থেকে সাতখামাইর,শ্রীপুর সদর,ইজ্জতপুর,রাজেন্দ্রপুর হয়ে গাজীপুর জয়দেবপুর পর্যন্ত।)
অথচ জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস ছাড়া কার্যত এই বিষয়ে তেমন কোন কথাই বলেননি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,এই রাস্তাটি-ই গাজীপুরের একাধিক জনপ্রতিনিধির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে । তাই সব উন্নয়নকে ছাপিযে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই রাস্তাটি দ্রুত নির্মান না করলে একাধিক জনপ্রতিনিধির ইমেজ হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,কাওরাইদ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রেললাইন সংলগ্ন রাস্তাটির অনেকটুকুই পাকা। শুধুমাত্র রাস্তাটির নামকরণ করে পুনঃনির্মাণ করলেই হয়। এই রাস্তার পরিধির মধ্যে গাজীপুর-২ আসন, গাজীপুর-৩ আসন সহ আওতায় পড়ে গাজীপুর সিটিকর্পোরেশন,গাজীপুর সদর উপজেলা,শ্রীপুর পৌরসভা ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ। রাস্তটি বর্তমান বেহাল অবস্থা এবং পুনঃনির্মান না হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের গালা-গালিজের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে একাধিক জনপ্রতিনিধিরা। যখন কোন মানুষ বা যানবাহন গর্তে পড়ে তখনই শুরু হয় গালিগালাজ। রাষ্ট্রের মালিক জনগন তাদের সেবকদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সুবিধা না পেলে গালিগালাজ করবে এতে আপত্তি করার তেমন কিছু নেই।
এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের দাবী,অনতিবিলম্বে এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি সংষ্কার এবং পুনঃনির্মান করে হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের সুবিধার আওতায় আনা সময়ের বাস্তব দাবীতে পরিনত হয়েছে। এই রাস্তাটি নির্মান হলে গাজীপুরের উত্তর অংশই শুধু নয়,গাজীপুর জেলার তিনিট উপজেলা সহ আশ-পাশ জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষও উপকৃত হবে সহজে। বিশেষ করে জরুরী যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত হবে। এতে বেশী উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ। এই রাস্তাটি নির্মান হলে প্রান্তিক কৃষকেরা নায্য মূল্য পেতে তাদের কৃষিপন্য দ্রুত ও সহজে শহরে আনতে পারবেন এবং জরুরী সেবাদানকারীরা কম সময়ে তাদের সেবাকাজ করতে পারবেন। জেলার দূরবর্তি নাগরিকেরা কম সময়ে ও অনেক সহজে জেলা উপজেলায় যাতায়াতও করতে পারবেন।
এ ছাড়া জরুরী রোগী, অগ্নিনির্বাপক যানবাহন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে বিনা যানজটে পৌঁছতে পারবে।
গাজীপুর জেলার উত্তর এলাকার গণমানুষের দাবী, জরুরী ভিত্তিতে রেললাইন সংলগ্ন রাস্তটি সংষ্কার এবং পুনঃনির্মান করার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।