শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে ঐতিহ্যবাহী শ্রীপুর ট্যুরিজম বাইকার্সের ভারতের দাজিলিং অভিযান সফল ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। হিমালয়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ছবির মতো সুন্দর স্বপ্নপুরী দার্জিলিং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিখ্যাত টুরিস্ট প্লেস। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভারতের যতগুলো টুরিস্ট স্পট আকর্ষণীয় তার মাঝে দার্জিলিং অন্যতম। দার্জিলিং হলো মেঘ আর পাহাড়ের শহর যা ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উচুতে অবস্থিত। দার্জিলিং শহর আর মেঘ ? সে তো সারাদিনই দার্জিলিং শহরে খেলা করে, মুহুর্তেই চারপাশ ঢেকে যায় মেঘে, আবার মুহুর্তে গায়েব হয়ে যায়। গত ২৩ অক্টোবর শ্রীপুর ট্যুরিজম বাইকার্সের সভাপতি খন্দকার মাসুদ রানার নেতৃত্বে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ২৩ অক্টোবর রাতে রওনা হয়ে ১৩জনের একটি পর্যটক দল ২৪ তারিখ কলকাতা পৌচ্ছায়। রাতে কলকাতা থেকে ট্রেনে করে ২৫তারিখে নিউজলপাইগুড়ি পৌচ্ছে কামরুকামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে চলেযায় দাজিলিং ওখানে আগে থেকেই ভাড়া করা টাটা সমু জীপ গাড়িতে চড়ে দুপুরের মধ্যেই স্বপনের দাজিলিং পৌচ্ছে যায়। বিকাল থেকেই শুরুহয় দাজিলিং অভিযান প্রথমেই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন ‘ঘুম’ ছাড়াও সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় দেখা, পৃথিবীর বিখ্যাত প্রার্থনা-স্থান ঘুম মোনাস্ট্রি, ছবির মতো অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাতাসিয়া লুপ, Snow Lupard খ্যাত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা, পাহাড়ে অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র ‘হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট’, সর্বপ্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং-রক- এর স্মৃতিস্তম্ভ, কেবল কারে করে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণ, হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে বসে তাৎক্ষণিকভাবে পৃথিবীখ্যাত ব্ল্যাক টি পানের অপূর্ব অভিজ্ঞতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেলপ্ সেন্টার, নেপালি জাতির স্বাক্ষর বহনকারী দার্জিলিং মিউজিয়াম, পৃথিবীর বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল, ব্রিটিশ আমলের সরকারি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কাউন্সিল হাউস, শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির ‘দিরদাহাম টেম্পল’ পাথর কেটে তৈরি ‘রক গার্ডেন’ এবং হিমালয় কন্যা ‘কাঞ্চন-জংঘা’, বিশুদ্ধ পানির অবিরাম ঝর্ণাধারা ‘ভিক্টোরিয়া ফলস্’ অভিযান শেষে কলকাতা হয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যটক দলটি অভিযান সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশে ফিরে আসে।ভারতের দাজিলিং অভিযানে অংশগ্রহনকারী পর্যটকরা হলেন, খন্দকার মাসুদ রানা, মো: জহিরুল ইসলাম, মিষ্টার আতিক প্রধান, মো: সোহেল রানা, মো: মাজাহারুল করিম, মো: রিপন হোসেন, মো: আল মাসুম, মো: অাফজাল হোসেন আরাফাত, মো: আনোয়ার পারভেজ, মো: আলমগীর হোসেন, জাহিদ হোসেন সুমন, জিয়াউর রহমান ও শাহানাজ পারভিন। ট্যুরিজম সভাপতি খন্দকার মাসুদ রানা জানান, ছোট বেলা থেকেই আমি ভ্রমন করি। যখনি সুযোগ পাই তখনি ট্যুরিজমের সদস্য ও পর্যটকদের নিয়ে দেশ এবং দেশের বাহিরে ভ্রমন করে থাকি। আমি আগেও আরো ৪ বার দাজিলিং ভ্রমন করেছি।তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ভ্রমন সম্পূর্ণ করেছি। জানুয়ারিতে আমাদের বড় একটি টিম কাশ্মীর অভিযান করবে সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।