শ্রীপুর থানা থেকে আসামি উধাও! পরিবার এবং স্বজনদের আটকে নির্যাতন

0
9

নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুরঃ-

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি এমপিকে বিতর্কিত করতে পুলিশের এই অপকান্ড!

গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামিলীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে রফিকুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার একদিন পর থানা থেকে পালিয়েছে ব’লে দাবি থানা পুলিশের।
সন্দেহজনক আসামি থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বজনদের উপর অমানবিক চাপ সৃষ্টি ও নির্যাতনের অভিযোগ এখন পুলিশের বিরুদ্ধে ।

এঘটনায় পুলিশ পলাতক সন্দেহজনক শ্রমিকলীগ নেতার ছেলেসহ আত্মীয় তিনজনকে আটক ও মারধর করে থানায় আটকে রেখেছে পুলিশ। এমন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে ঘটনার সংশ্লিষ্ট এসআই আব্দুর রাজ্জাক ও ওসি শাহজামান এবং পুলিশ সুপার গাজীপুরকে একাধিক সংবাদকর্মী অগণিত বার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আটকের পর আটককৃতদের আদালতে না পাঠিয়ে পুলিশ রহস্যের সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন একজন আইনজীবী।

আটককৃত সন্দেহজনক আসামী মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫) শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের মৃত শরাফত আলীর সন্তান। তিনি শ্রীপুর উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ শাখার সহসভাপতি।

রফিকুল ইসলামের বড়ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার ভাই ধানখেত দেখতে যায়। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে রফিকুল ইসলামকে ঝাপটে ধরে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বুধবার সকালে খাবার নিয়ে থানায় যায়। এরপর পুলিশ বলে আমার কাছে দেন আমরা পৌঁছে দিচ্ছি এই বলে পুলিশ আমাদেরকে থানা থেকে বিদায় করে দেয় পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার সময় রফিকুলের ছেলে জাহিদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে খাবার দিতে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত থানার অপেক্ষা ঘরে বসে থেকে জাহিদের কাছে খাবার রেখে চলে আসি। এরপর খাবার দিয়ে রাত এগারোটার সময় জাহিদ বাড়িতে আসে। রাত ১২ টার সময় এসআই রাজ্জাকের নেতৃত্বে ১২ জন পুলিশ সদস্য বাড়িতে এসে পরিবারের সাতজন সদস্যকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে প্রতিটি ঘরে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কোন কিছু না পেয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলে থানা থেকে রফিকুল পালিয়েছে। পালিয়ে সে বাড়িতে আসছে এখন কই দ্রুত আমাদের হাতে তুলে দে’।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহ্ জামানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি একবার ফোন রিসিভ করে কথা না বলে কেটে দেন ।

তখন গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলমকে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলে তিনি একবার রিসিভ করে বলেন সন্দেহ জনক ভাবে কাউকে আটকের ঘটনা ঘটেনি বা ঘটে থাকলে তিনি তা জানেন না, তবে ‘কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করার পর নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির করার বিধান রয়েছে। এছাড়াও থানা থেকে আসামী পালানোর কোন সুযোগ নেই, এমন হয়ে থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

কোন মন্তব্য নেই