এমএইছ চৌধুরী জুনাইদ, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : সারাদেশে শীতের আগমন সংকেত বাঁজতে শুরু করেছে। গভীর রাত হতে ভোর অবধি হালকা কুয়াশার চাদরের উপস্থিতি জানিয়ে দিচ্ছে শীতের দেখা মিলবে সহসা। এরই মধ্যে শীতপ্রধান দেশগুলোতে সর্বত্র তরল পানি জমে কঠিন রূপ ধারণ করছে। এসময় শীত প্রধান দেশের তাপ মাত্রা অতিদ্রুত হ্রাস পওয়াতে সেখানকার পানির উৎসগুলো জমে বরফ হয়ে যায়। এতে সেখানকার পশু পাখিদের জলজ খাদ্য জমাট বাঁধা বরফের নীচে ঢাকা পড়ে যায়। ফলে ওই সব দেশের পাখিরা খাদ্য সংকটে পড়ে শতশত কি.মি. দূরত্বে অপেক্ষাকৃত উষ্ণাঞ্চলীয় দেশে পারি জমাচ্ছে খাদ্য অন্বেষনে।শীত প্রধান দেশ থেকে কিছু দিনের জন্য উড়ে আসা ওই সমস্ত পাখিরাই আমাদের দেশে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যায়িত হয়।এসব অতিথি পাখিদের মধ্যে বাংলাদেশে অতি পরিচিতি অতিথি পাখি হচ্ছে, স্বচ্ছ পানির বালি হাঁস, কয়রা চকাচকি, বুনো হাঁস, ছোট-বড় সারস পাখি, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, কাদাখোঁচা, গায়ক রেন পাখি, রাজসরালি, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নানান রং আর কণ্ঠ বৈচিত্র্যের পাখিদের মধ্যে রয়েছে ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, সরালি, পাতিহাঁস, বুটিহাঁস, কালোহাঁস, রাজহাঁস, চখাচখি, গিরিয়া, খঞ্জনা, পাতারি, জলপিপি, পানি মুরগি, প্রভৃতি। এই অতিথি পাখিরা জীবন রক্ষার তগিদে আমাদের দেশে আসলেও ওরা কিন্তু বিভিন্ন আঙ্গিকে আমাদের উপকারই করছে। এই অতিথি পাখিরা এদেশের হাওর, বাওর, জলাশয়, নদী নালা ও সমুদ্র সৈকতে বিচরণ করে। উল্লেখিত হাওর, বাওর, জলাশয়ে বসবাসকারী ক্ষতিকারক পোকা মাকড় ও অপ্রয়োজনীয় জলজ উদ্ভিদকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে অতিথি পাখিরা আমাদের বিশেষ উপকারই করছে। পাশাপাশি অতিথি পাখিদের ত্যাগকরা বিষ্টা ওইসমস্ত জলাশয়ে চাষকৃত ও প্রাকৃতিক মৎস্য খাদ্যের যোগান দেয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও এই পখিদের ভূমিকা কম নয়।উপরে উল্লেখিত বিষয়াবলী মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে অতিথি পাখিদের শিকার বা নিধন না করে নির্বিঘ্নে বিচরণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এদিকে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জলাশয়, হাওর ও নদীর চরে অতিথি পাখির আগমন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পাখি শিকারীদের নির্দয় ও নির্মম কর্মকান্ডে অতিথি পাখিরা নির্ভয়ে বিচরণ করতে পারছেনা। প্রতিদিনই পাখি শিকারীরা অতিথি পাখিসহ দেশী বক, পেরী হাঁস, বালি হাঁস ও শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে হাট বাজারে বিক্রি করছে। এই পাখি শিকারীদের হাত থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও জলজ প্রাণির অন্যতম বান্ধব অতিথি পাখিদের রক্ষায় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ প্রয়োজন। অতিথি পাখি শিকারীদের প্রতিরোধ কল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিশদ ভাবে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে এ লক্ষ্যে পৌঁছা সহজ হবে বলে মনে করেন পখি প্রেমিক সচেতন মহল।
- অন্যান্য
- আইন আদালত
- কৃষি ও পরিবেশ প্রকৃতি
- গ্রাম বাংলা
- জাতীয়
- জানা-অজানা
- জেলার সংবাদ
- ব্রেকিং নিউজ
- শিক্ষাঙ্গন
- সম্পাদকীয়
- সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- স্লাইড