সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালীর সবুজ কার্পেটে মোড়ানো সী-বিচ পর্যটকদের কাছে টানে

0
173

জি নিউজ পর্যটনডেস্কঃ ভ্রমন কারনা ভালো লাগে গুলীয়াখালী ভ্রমন হলে কেমন হয়। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত (Guliakhali Sea Beach) যার অবস্থান চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায়।এলাকার মানুষের কাছে মুরাদপুর বীচ নামেও পরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালি সী-বিচের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার।আমাদের এই ভ্রমনটা ছিলো বাইক নিয়ে। রাতে হোটেল জলসায় রাত্রিযাপন শেষে সকালে জলসা হোটেলে নাস্তা পর্ব সেরে যাত্রা শুরু হল গুলিয়াখালী সী-বিচের উদ্দেশ্যে।২৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই পৌচ্ছে গেলাম বেড়িবাঁধ বাইক রেখে নিচে যাওয়ার পালা রাতে জোয়ার শেষে সবে মাত্র ভাটা নিচে খুব পিছল এবং কাদা ছিল বিশাল মাঠ পেরিয়ে যেতে একটু সামনেই দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বনের দর্শন পেলাম। একটু লক্ষ করলেই চোখেঁ পড়বে কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারিদিকে কেওড়া গাছের হাজারো শ্বাসমূল। এখানে আপনি পাবেন কিছুটা সিলেটের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ও সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনের মত পরিবেশ। সবুজ কাপের্টে মোড়ানো গালিচার বিস্তৃত ঘাস। অনেক সী-বিচে হয়তো ভ্রমন করেছেন এই সী-বিচে ভ্রমন টা হবে
সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রার সাগরের পাশে সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর নিশ্চিতভাবেই আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। মাঝে মাঝে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিক ভাবেই সৃষ্টি হয়েছে আঁকা বাঁকা গর্তের। এইসব গর্তে জোয়ারের সময় পানি জমে থাকে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট গর্তের মধ্যে পানি ভর্তি এই দৃশ্য যে কোন পর্যটকদের মুগ্ধ করবেই।এখানে আপনি নিরবিলি পরিবেশ পাবেন। চাইলে জেলেদের ট্রলারে করে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ডু মারতে পারেন। বোট ঠিক করার ক্ষেত্রে অবশ্যয় দরদাম ফুরিয়ে নিবেন।অনেক সুন্দর মাঠ আছে চাইলে ফুটবল খেলতে পারেন। জেলেদের বোটে করে সমুদ্রেও ঘুরতে আপনার কাছথেকে ১৫০০/২০০০ টাকা নিতে পারে। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় ররেখে সন্ধ্যার মধ্যেই সী-বিচ ছেড়ে চলে আসবেন।

কিভাবে হবে আপনার যাত্রাঃ-
ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করলে আপনি চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ড নামবেন। এসি ও নন এসি এইসব বাসের ভাড়া ৪৫০/১০০০ টাকার মধ্যেই হবে। ট্রেনেও আপনি শীতাকুণ্ডে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেনে করে জনপ্রতি ১২০ টাকা ভাড়া সীতাকুণ্ড আসতে পারেন। ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে করে ফেনী যেতে পারবেন, শ্রেনী ভেদে ভাড়া ২৭০-৮৫০ টাকা মধ্যেই হবে। ফেনী থেকে লোকাল বাসে করে সীতাকুণ্ড যেতে পারেন। ফেনী থেকে লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া লাগবে।

চট্রগ্রাম থেকে কি ভাবে যাবেনঃ-
চট্রগ্রাম শহরের অলংকার মোড়, এঁকে খান মোড় অথবা কদমতলী থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাস ও মেক্সি পাওয়া যায়। পছন্দ মতো জায়গা থেকে চলে আসতে পারবেন সীতাকুণ্ড বাজারে।

সীতাকুণ্ড থেকে কিভাবেযাবেনঃ-
সীতাকুন্ডের বাস স্ট্যান্ড থেকে, থানার সামনে থেকে অথবা ব্রীজের নিচ থেকে সরাসরি সিএনজি/অটো নিয়ে গুলিয়াখালি বীচের বেড়িবাঁধ পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন। রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০-৩০০ টাকা দরদাম করে নিবেন।সীতাকুণ্ড ফিরে আসার জন্যে আগে থেকেই সিএনজি চালকের নাম্বার নিয়ে রাখতে পারেন। আপনি সিএনজি রিজার্ভ করে নিবেন সন্ধ্যা হয়ে গেলে অনেক সময় ফিরে আসার সময় সিএনজি পাওয়া যায় না।

থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাকরছিঃ-
গুলিয়াখালি সি বিচে থাকা ও খাবার কোন ব্যবস্থা নেই। শুধুমাত্র সী-বিচে ছোট একটি দোকান আছে তাই প্রয়োজনে সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সাথে পানিসহ শুকনো খাবার কিনে নিবেন। সীতাকুণ্ড বাজারের ভালো মানের খাবার হোটেল পাবেন। রাতে থাকতে চাইলে সীতাকুণ্ড বাজারে সাইমুন এবং সৌদিয়া এবং জলসা হোটেলে থাকতে পারবেন হোটেলে থাকতে পারবেন। সাইমুনে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় রুম পাবেন আর সৌদিয়ায় রুম পেতে আপনাকে গুনতে হবে ৬০০ থেকে ১৬০০ টাকা। বুকিং দিতে ফোন করতে পারেন 01991-787979, 01816-518119 নাম্বারে।আর যদি ভালো কোথাও থাকতে চান তাহলে চট্রগ্রাম রাত্রি যাপন করেতে হবে।

বলে রাখা ভালো আমরা ভ্রমন গুলো বাইকে করেছি। আপনারা চেষ্টা করলে নিজের বাইক নিয়ে এই ভ্রমন টা করতে পারেন।সাবধানে বাইক চালান,বাইকে ফোনের ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন। ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।প্রতিটি দূর্ঘটনাই সারাজীবনের কান্না।মনে রাখুন আপনার পরিবার আপনার অপেক্ষায় আছে।আপনাদের ভ্রমন হউক নিরাপদ।পরবর্তী ভ্রমনের আপডেট পেতে এই পেইজে লাইক দিন।

আপনার মতামত প্রকাশ করেন

আপনার মন্তব্য দিন
আপনার নাম এন্ট্রি করুন