জি নিউজ পর্যটন ডেস্কঃ
সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে অবস্থিত দুটি ঝর্ণার একটি হল সুপ্তধারা ঝর্ণা। বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় এই ঝর্ণায় পানি থাকে না। তাই শুস্ক মৌসুমে দূর থেকে দেখলে মনে হবে ঝর্ণায় কোন পানি নেই। তবে, ঝর্ণার কাছে গেলে সামান্য কিছু পানি পরতে দেখবেন। যদি বর্ষাকালে এখানে আসেন তবে ঝর্নাটিকে পানিতে পরিপূর্ণ অবস্থায় দেখতে পাবেন এবং ঝর্ণার সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন।ঝর্ণার সৌন্দর্য এক কথায় অসাধারণ। এখানে বড় এবং ছোট পাথর খণ্ড ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। ঝর্ণা দেখে আপনি পাহাড়ে উঠতে পারেন।
কিভাবে যাবেনঃ-
————————
আপনাকে প্রথমেই কুমিল্লা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে পৌছাতে হবে। এই স্থানটি চট্রগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার এবং সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চট্রগ্রাম থেকে ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিকশা, বাস অথবা ট্রেনে করে এখানে আসতে পারবেন। ট্রেনে আসতে হলে আগে থেকে সময়সূচী জেনে নেওয়াই ভাল। ট্রেনে করে সীতাকুণ্ড থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে ফিরতে পারবেন।
সিএনজি অটোরিকশায় চট্রগ্রাম থেকে সীতাকুণ্ডে আসতে প্রায় ২৭০/- টাকা ভাড়া দিতে হবে। ইকো পার্ক থেকে ফেরার সময় সীতাকুণ্ড বাজারে আপনি প্রচুর সিএনজি অটোরিকশা পাবেন।
সহস্রধারা ঝর্ণাঃ
বিস্তারিত
সুপ্তধারা ঝর্ণা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারের হাঁটা দূরত্বে সহস্রধারা ঝর্ণাটি অবস্থিত। সুপ্তধারা ঝর্ণার মত এই ঝর্ণাটিতেও শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। এই ঝর্ণাটি সুপ্তধারা ঝর্ণার পানি থেকেই সৃষ্ট। পাহাড়ের উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে আপনাকে সহস্রধারা ঝর্ণার নীচে নামতে হবে। মনে রাখতে হবে ঝর্ণায় নামার কাজটি সহজ হলেও পাহাড়ে ওঠার কাজটি কিন্তু বেশ কঠিন এবং এজন্য আপনাকে প্রচুর শক্তি খরচ করতে হবে।
কিভাবে পৌঁছাবেন চট্রগ্রামেঃ-
চট্রগ্রাম বিভাগের সাতটি জেলার অন্যতম হল চট্রগ্রাম। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিনে কক্সবাজার জেলা, পূর্বে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা এবং বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
ঢাকার সাথে চট্রগ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। বাসে করে সরাসরি ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে যেতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী কয়েকটি বাস সার্ভিস সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলঃ
১। সাউদিয়া পরিবহন
আরামবাগ কাউন্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৭১০২৪৬৫
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৮০১৮৪৪৫
কলাবাগান কাউণ্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৯১২৪৭৯২
২। এস আলম
ফোনঃ +৮৮-০৩১-৬৩৬৯৯৭, ৬১১৪২৬
৩। হানিফ এন্টারপ্রাইজ
পান্থপথ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭৩৪০২৬৭০
আরামবাগ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭১৩৪০২৬৭১
সায়েদাবাদ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭১৩৪০২৬৭৩
৪। গ্রিনলাইন পরিবহন
আরামবাগ কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭১৯২৩০০
ফকিরাপুল কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭১৯১৯০০
কোথায় থাকবেনঃ-
————————-
চট্টগ্রামে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলো। এগুলোই সবই মান সম্পন্ন কিন্তু কম বাজেটের হোটেল।
১. হোটেল প্যারামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম : নুতন ট্রেন স্টেশনের ঠিক বিপরীতে । আমাদের মতে বাজেটে সেরা হোটেল এটি। সুন্দর লোকেশন, প্রশস্ত করিডোর (এত বড় কড়িডোর ফাইভ স্টার হোটেলেও থাকেনা)। রুমগুলোও ভালো। ভাড়া নান এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা। বুকিং এর জন্য : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪
২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম : এটাও অনেক সুন্দর হোটেল। ছিমছাম, পরিছন্ন্ হোটেল। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা। বুকিং এর জন্য – ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।
৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম : একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল। ছাদের ওপর একটি সুন্দর রেস্টুরেন্ট আছে। রাতের বেলা সেখানে বসলে আসতে ইচ্ছে করবেনা। ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু। এসি ১৩০০ টাকা। বুকিং এর জন্য -০৩১-০৬১৪০০৪।
৪. হোটেল নাবাইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও,আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। একটু বেশী ভাড়ার হোটেল। তবে যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ। ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা। বুকিং এর জন্য – ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২।
৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম : আগ্রাবাদে থাকার জন্য ভালো হোটেল। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা। বুকিং এর জন্য: ০১৮২-০১৪১৯৯৫,।